গত দু’বছরের ট্র্যাক রেকর্ডই অন্যতম ফেবারিট করে তুলেছে হ্যাজার্ডের বেলজিয়ামকে
বিশ্বকাপের আগে টানা দুবছর হারেনি বেলজিয়াম। ইউরোয় পর্তুগালের বিরুদ্ধে হারের পর থেকেই যে বিজয়রথ শুরু হয়েছে টানা ১৯ ম্যাচ অপরাজিত হ্যাজার্ডরা।
বিশ্বকাপের আগে টানা দুবছর হারেনি বেলজিয়াম। ইউরোয় পর্তুগালের বিরুদ্ধে হারের পর থেকেই যে বিজয়রথ শুরু হয়েছে টানা ১৯ ম্যাচ অপরাজিত হ্যাজার্ডরা। আর এই জয়ের অভ্যাসই তাঁদের বিশ্বকাপে অন্যতম ফেবারিট করে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে সব হিসাব উলটে দিতে পারে বেলজিয়াম।
সেই বেলজিয়ামই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নামছে পানামার বিরুদ্ধে। পানামা এবার বিশ্বকাপে নবাগত। আর এই জি গ্রুপেই বেলজিয়ামের সঙ্গে রয়েছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডকেও এবার ডার্ক হর্ষ
ধরা হচ্ছে। অর্থাৎ দুই কালো ঘোড়া এবার একই গ্রুপ থেকে অভিযান শুরু করছে। তবে ইংল্যান্ডের থেকেও বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকবে বেলজিয়াম। তার প্রধান কারণ ধারাবাহিকতা।
সেই কারণেই কালো ঘোড়া তো বটেই, সেই ক্ষেত্রে থেকে আরও একটি এগিয়ে বেলজিয়ামকে অন্যতম ফেবারিটের তকমা দেওয়া যেতেই পারে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে বেলজিয়াম ৪১টি ম্যাচ খেলেছে। জিতেছে ১৪টি, ড্র ৯টিতে আর হাত ১৮টি। ৫২টি গোল করেছে, খেয়েছে ৬৮টি। তবে এই পরিসংখ্যান দিয়ে বেলজিয়ামকে বিচার করলে ভুল হবে।
গত চার বছর বেলজিয়াম নিজেদেরকে যেভাবে উন্নীত করেছে এবং যে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে, তা দেখাতে পারেনি জার্মানি, ব্রাজিল বা আর্জেন্তিনা। বেলজিয়াম কিন্তু শেষ দুবছর অসম্ভব ধারাবাহিক। একটা সময়ে আর্জেন্তিনা ও জার্মানিকে সরিয়ে তারা এক নম্বরেও উঠে এসেছিল। এখন তিন নম্বরে।
তারপর বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ১০টি ম্যাচের ৯টিতেই জয়ী হয়েছে বেলজিয়াম। এই পরিসংখ্যানও বেলজিয়ামের পক্ষে। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর আগে বেলজিয়াম খুব ভলো অবস্থায় রয়েছে। ইউরো শুরুর আগেও বেলজিয়ামকে হট ফেবারিট ভেবেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বেলজিয়াম-ফ্রান্সের মতো টিমকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় রোনাল্ডোর পর্তুগাল।
তবু বিশ্বকাপের আসরে বেলজিয়ামকে নিয়ে আশা করাই যায়। কেননা তাদের দলে রয়েছে ইডেন হ্যাজার্ড, ব্রুনেই, ভিনসেন্ট, কেম্পানির মতো খেলোয়াড়।