অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাথা উঁচু করে বিশ্বকাপকে বিদায় বেলজিয়ামের
এই বিশ্বকাপে কালো ঘোড়া হিসাবে খেলতে এসেছিল বেলজিয়াম। এদিন জিতে মাথা উঁচু করে বিশ্বকাপকে বিদায় বেলজিয়ামের।
এই বিশ্বকাপে কালো ঘোড়া হিসাবে খেলতে এসেছিল বেলজিয়াম। এডেন হ্যাজার্ড, রোমেলু লুকাকু, ডি ব্রুইনে, থমাস মিউনিয়ার, নাসের চ্যাডলিদের দলকে বলা হচ্ছিল বেলজিয়াম ফুটবলের সোনার প্রজন্ম। আর শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে শুরু করে রেড ডেভিলসরা।
গ্রুপ লিগের ম্যাচে সবকটিতে জয় পায়। গ্রুপ জি থেকে শীর্ষস্থানে থেকে পরের রাউন্ডে ওঠে। হারায় পানামা, তিউনিশিয়া ও ইংল্যান্ডকে। তারপরে শেষ ১৬-য় জাপানকে ৩-২ গোলে ও ব্রাজিলকে কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে হারিয়ে রেড ডেভিলসরা সেমি ফাইনালে পৌঁছয়।
তবে শেষ চারে উঠে ফাইনালের লড়াইয়ে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়। তারপরে এদিন তৃতীয় স্থানের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে দিলেন হ্যাজার্ডরা।
কোচ রবার্তো মার্তিনেসের আমলে ২৬টি ম্যাচ খেলে বেলজিয়াম মাত্র ২টি ম্যাচ হেরেছে। এই বিশ্বকাপেও শুধুমাত্র সেমিফাইনালের ম্যাচ বাদে সব ম্যাচ জিতেছে বেলজিয়াম। কোনও ম্যাচে ড্র পর্যন্ত করেনি। এছাড়া দল হিসাবেও সবচেয়ে বেশি গোল করে বিশ্বকাপ থেকে বেলজিয়াম বিদায় নিল।
বিশ্বকাপে এটাই বেলজিয়াম দলের সেরা পারফরম্যান্স। এর আগে ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে বেলজিয়াম সেমিতে উঠেছিল। তবে আর্জেন্তিনার কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নেয়। পরে তৃতীয় স্থানের ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে হেরে চতুর্থ স্থানে শেষ করে।