বেঙ্গালুরুর কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ ইস্টবেঙ্গলের
মরসুমটা ভাল গেল না লাল-হলুদের। চ্যাম্পিয়ান হওয়ার জায়গা থেকেও সুপার কাপে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
শেষ রক্ষা করতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। ছয় বছর পর সর্বভারতীয় ট্রফি জয়ের সামনাসামনি পৌঁছেও সুপার কাপ ঘরে তুলতে ব্যর্থ হল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
শুক্রবার সুপারের মেগা ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসির কাছে ১-৪ ব্যবধানে হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। মশাল বাহিনী ফাইনালে পৌঁছনোয় এ দিন তাঁদের সমর্থন করতে কলকাতা থেকে হাজারে হাজারে মানুষ ভীড় জমিয়েছিলেন ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। শুধু কলকাতাই নয়, প্রিয় দলের সমর্থনে লাল-হলুদ সমর্থকেরা ছুটে এসেছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
তবে
তাঁদের
সকলকেই
ম্যাচ
শেষে
মাঠ
ছাড়তে
দেখা
গেল
বিষন্ন
মুখে।
এ
দিন
ম্যাচের
শুরু
থেকেই
অ্যাটাকিং
ফুটবল
খেলতে
থাকে
ইস্টবেঙ্গল।
যার
ফল
হিসেবে
ম্যাচের
৭
মিনিটের
মাথায়ই
গোল
পেয়ে
যেত
পারত
ইস্টবেঙ্গল।
গোলমুখি
বল
তাড়া
করে
ক্রোমার
দৌড়
থামাতে
বক্সের
বাইরে
এসে
ক্রোমার
বুকে
বুটের
নীচু
অংশ
দিয়ে
আঘাত
করে
বেঙ্গালুরু
গোলরক্ষক
গুরপ্রীত
সিং
সাঁধু।
ন্যায্য়
লাল
কার্ড
পাওয়ার
কথা
থাকলেও
তাঁকে
হলুদ
কার্ড
দেখিয়েই
ছেড়ে
দেন
রেফারি।
গোল পেতে ইস্টবেঙ্গলকে অপেক্ষা করতে আরও কিছুক্ষণ। ম্যাচের ২৮ মিনিটে বিশ্বমানের গোল করে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান ক্রোমা। তবে সেই গোল ধরে রাখতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। ৪০ মিনিটে গোল করে বেঙ্গালুরু এফসিকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন রাহুল ভেকে। এরই মাঝে প্রথমার্ধের শেষে লাল কার্ড দেখে লাল-হলুদের রাইট ফুট ব্যাক সামাদ আলি মল্লিক। প্রথমার্ধ শেষে খেলার ফল ছিল ১-১।
আশা
করা
হয়েছিল
দ্বিতীয়ার্ধে
ব্যবধান
বাডানোর
লক্ষ্যে
নতুন
উদ্যমে
খেলবে
ইস্টবেঙ্গল।
কিন্তু
আশা
আর
বাস্তবের
মধ্যে
ফারাকটা
যে
বিস্তর
তা
টের
পাওয়া
গেল
ম্যাচের
৬৫
মিনিট
থেকে।
দশ
জনের
ইস্টবেঙ্গলকে
চাপে
ধরে
বেঙ্গালুরু।
যার
ফল
৬৮
মিনিটে
করা
গুরবিন্দর
সিং-এর
নিজেদের
বক্সে
করা
হ্যান্ড
বল।
পেনাল্টি
দিতে
সময়
নেননি
রেফারি।
পেনাল্টি
থেকে
গোল
করে
বেঙ্গালুরুকে
প্রথমবারের
জন্য
ম্যাচে
এগিয়ে
দেন
সুনীল
ছেত্রী।
সুনীলের
গোলের
রেশ
কাটতে
না
কাটতেই
ফের
গোল
বেঙ্গালুরুর।
গোলদাতা
মিকু।
দ্বিতীয়ার্ধের
শেষ
লগ্নে
গোল
করে
ইস্টবেঙ্গলের
কফিনে
শেষ
পেরেক
পুঁতে
দেন
কলকাতার
জামাই
সুনীল-ই।
কিন্তু
কী
কারণে
এ
দিন
হারল
ইস্টবেঙ্গল?
ইস্টবেঙ্গলের হারের পর্যালোচনা করতে গেলে উঠে আসবে বেশ কিছু তথ্য। যার অধিকাংশটাই স্ট্র্যাটাজি সম্পর্কিত। গোটা টুর্নামেন্টেই অল আউট অ্যাটাকিং ফুটবল খেলছে বেঙ্গালুরু এফসি। ফলে ঠান্ডা মাথার এক জন ডিফেন্ডারের প্রয়োজন ছিল ভীষণ ভাবে। সে ক্ষেত্রে অর্ণব মন্ডলের মতো অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারকে কেন প্রথম একাদশে রাখা হল না সেটাই বড় প্রশ্ন।
অন্যদিকে, কেভিন লোবোর জায়গায় দীপক কুমারকে কোন ফুটবল বুদ্ধিতে লাল-হলুদ কোচ মাঠে নামালেন তাও বোঝা গেল না।