মিকু সাইক্লোনে মহানদীর তীরে সলিল সমাধি পালতোলা নৌকার
দেশের ফুটবলপ্রেমীরা আশা করেছিলেন ডার্বি দিয়ে শেষ হবে চলতি ফুটবল মরসুম। কিন্তু সমর্থকদের সেই আশা মিটল না। বেঙ্গালুরু এফসির কাছে ৪-২ গোলে হেরে সুপার কাপ থেকে বিদায় নিতে হল মোহন বাগানকে।
বেঙ্গালুরু এফসির কাছে ৪-২ গোলে হেরে সুপার কাপ অভিযান শেষ করল মোহনবাগান। পাশাপাশি ট্রফিহীন থেকেই ২০১৭-১৮ মরসুম শেষ করতে হল ডিপান্ডা ডিকা-আক্রাম মোগরাভিদের।
[আরও পড়ুন:চার পার করতেই অস্তিত্ব সঙ্কটে আইএসএল, আই লিগের কাছে কেন অসহায় 'অম্বানি প্রোজেক্ট']
মঙ্গলবার সুপার কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পুরনো প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামে মোহনবাগান। অতীতে যখনই এই দু'টি দল মুখোমুখি হয়েছে তখনই উত্তেজক ম্যাচের সাক্ষী থেকেছেন সমর্থকেরা। মাঠের উত্তেজনা ছড়িয়েছে গ্যালারিতেও। এদিনও দেখা যায় একই ছবি। কিন্তু চেনা পরিচত মোহন ফুটবলারদের মেজাজটারই আজ বড় অভাব ছিল ম্যাচের শুরু থেকে।
শেষ পর্যন্ত হারতে হলেও ম্যাচের শুরুটা কিন্তু ভালই করেছিল সবুজ মেরুন ব্রিগেডের। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতেই ম্যাচটি শুরু করেছিল শঙ্করলাল চক্রবর্তীর ছেলেরা। প্রথমার্ধে দাপটও ছিল মোহনবাগানের। ম্যাচের ৪১ মিনিটে আক্রম মোগরাভির পাস থেকে গোল করে বাগানকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ক্যামরুনের স্ট্রাইকার ডিপান্ডা ডিকা। এক গোলের লিড নিয়ে প্রথমার্ধে মাঠ ছাড়ে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
আশা করা হয়েছিল প্রথমার্ধের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করতে ঝাঁপাবে মোহনবাগান। সুবিধাও পেয়ে গিয়েছিল বাগান ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই লাল-কার্ড দেখেন বেঙ্গালুরুর নিশু কুমার।
মনে করা হয়েছিল ১০ জনের বেঙ্গালুরু আর হয়তো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না বেঙ্গালুরু বিরুদ্ধে। বাগান সমর্থকরা যখন ধরে নিয়েছেন ম্যাচ হাসতে হাসতে জিতবে তাঁদের প্রিয় দল, তখনই বেঙ্গালুরুর ত্রাতা হয়ে অবতীর্ণ হন মিকু। ৬১ মিনিটে উদান্ত সিংহের পাস ধরে গোল করে বেঙ্গালুরুকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন ভেনিজুয়েলার এই স্ট্রাইকার। প্রথম গোলের রেশা কাটতে না কাটেই ফের মিকু ম্যাজিক। টনির বাড়ানো পাস থেকে গোল করে যান তিনি। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে বক্সের নিজেদের বক্সের মধ্যে উদান্ত সিংহকে মোহন ডিফেন্ডার রানা ঘড়ামি ফাউল করলে পেনাল্টি পায় অ্যালবার্তো রোকার দল। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি মিকু। পাশাপাশি করে যান নিজের হ্যাট্রিকও।
৮৯ মিনিটি মোহনবাগানের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন সুনীল ছেত্রী। প্রিয় দলের হার নিশ্চিত জেনে যখন মোহন সমর্থকেরা ধীরে ধীরে মাঠ ছাড়তে শুরু করেছেন সেই সময় দ্বিতীয় গোল করে কিছুটা যেন তাঁদের সান্ত্বনা দিয়ে গেলেন রজার মিল্লার দেশের স্টাইকার ডিকা।