বন্দুক ফেলে ফুটবলে-র শিক্ষা , শিক্ষক ভাইচুং, কাশ্মীরের মাজিদকে বার্তা পাহাড়ি বিছের
লস্কর থেকে ফিরে আসা মজিদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ভাইচুং ভুটিয়া
উগ্রপন্থা ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চেয়েছেন লস্কর ই তৈবায় যোগ দেওয়ায় মাজিদ আরশিদ খান। সমাজও তাঁকে সাহায্য করছে। এবার তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল সমাজও। দারুণ পদক্ষেপ নিলেন ভাইচুং ভুটিয়া।
দিগভ্রষ্ট এই তরুণকে ফের ফুটবলে ফেরাতে আগ্রহী ভাইচুং। সংবাদ পত্রে এই কিশোরের বিষয়ে পড়ে জানতে পেরেছেন ভাইচুং ভুটিয়া। ইতিমধ্যেই জম্মু কাশ্মীর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কথা বলেছেন ভাইচুং। জানিয়েছেন ছেলেটিকে নিজের অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং করাতে চান পাহাড়ি বিছে।
ভাইচুং আরও জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন এই ছেলেটি ছোট থেকে ফুটবল খেলে অনেক ট্রফি পেয়েছে। ভাইচুং বলেছেন,'যখন তুমি ফুটবলে ফের লাথি মারবে হয়ত দেখবে তোমার জীবন সেসময় থেকে ফের ছোটা শুরু করে দেবে। তোমাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চাই।'
ফুটবলকে বলা হয় 'বিউটিফুল গেম' এবার তাই সেই খেলার হাত ধরেই ফের জীবনের পথে তাঁকে ফেরানোর ব্রত নিতে চলেছেন ভাইচুং।
কিছুদিন আগেই উগ্রপন্থার রাস্তা বেছে নিয়ে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই তৈবায় যোগ দিয়েছিল কাশ্মীরের তরুণ ফুটবলার মাজিদ আরশিদ খান। তাকে আবার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। মাজিদকে ফিরিয়ে আনতে বার বার তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের দিয়ে আনুরোধ করায় পুলিশ। স্বজনদের অনুরোধে কিছুটা বরফ গলে যায়। আর তারপরই কাশ্মীরের আওন্তিপোরায় সেনার হাতে ধরা দেয় সে। আসে এই সাফল্য। অনন্তনাগের এই তরুণ ফুটবলার এক সপ্তাহ আগে ফেসবুকে জানায় যে , সে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনটিতে যোগ দিয়েছে। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাজিদ ইতিমধ্যেই বহু এনজিও -র সঙ্গে কাজ করেছে। তাই ফেসবুকে তাকে চিনতে অসুবিধে হয়নি কারোর। তবে বর্তমানে সে পুলিশ ও সেনার সঙ্গেই রয়েছে। পুলিশের তরফে এই ঘটনাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। মায়ের কোলে ছেলে ফিরে আসায় অত্যন্ত খুশি কাশ্মীর পুলিশও। এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে ভারতীয় সেনাও।