সাম্বার ছন্দ কেটেও সম্মান-যুদ্ধে হার মানল মালি, তৃতীয় স্থানে ‘সন্তুষ্টি’ ব্রাজিলের
শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেয় মালি। ম্যাচের রাশ আগাগোড়া ছিল মালির হাতেই। কিন্তু সব আক্রমণই হারিয়ে গেল বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই চমক দিয়ে আসছিল আনকোরা মালি। শেষটাও করল চমক দিয়েই। যদিও শেষরক্ষা হল না। তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে হারতেই হল। কিন্তু যে লড়াই তাঁরা দিয়ে গেল সাম্বার দেশের বিরুদ্ধে, তা অমর অক্ষরে লেখা থাকবে। এদিন ম্যাচের ট্যাগ লাইন তাই লেখাই যায়- 'খেলল মালি, জিতল ব্রাজিল।'
শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেয় মালি। ম্যাচের রাশ আগাগোড়া ছিল মালির হাতেই। কিন্তু সব আক্রমণই হারিয়ে গেল বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে। আক্রমণের ঝড় প্রতিহত হল ব্রাজিলের পায়ের জটে আর গোলরক্ষকের বিশ্বস্ত হাতে।
ব্রাজিল শুধু জিতল সুযোগ কাজে লাগিয়ে। গোলকিপারের ভুলে ব্রাজিল গোল করে গেল দুবার। ৫৫ মিনিটের মাথায় গোল হজম করল মালি। যার জন্য কোনওমতেই দায় এড়াতে পারেন না গোলকিপার ইউসুফ কোইতা। বল হাতে লেগে দুপায়ের ফাঁক দিয়ে গোলে ঢুকে যায়। ভুল জাজমেন্টের মাশুল দিতে হয়। এগিয়ে গিয়েই কাল করেন গোলকিপার। দুর্বল শটেই তাই গোল তুলে নেয় ব্রাজিল। আর শেষলগ্নে অর্থাৎ ৮৭ মিনিটে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করলেন পরিবর্ত অ্যালবার্তো। এক্ষেত্রেও রক্ষণভাগের ভুলের মাশুল দিতে হয় মালিকে।
ব্রাজিলের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দুর্গ রক্ষা করে গেলেন গোলকিপার ব্রাজাওই। মালির ব্যবধান ঘুচিয়ে দেওয়ার সমস্ত রাস্তা একার দক্ষতায় রুদ্ধ করে গেলেন। ফলে খেলায় ফেরা হল না মালির। খেলা শেষে মালির গোলরক্ষকে কাঁদতে দেখা যায়। এতেই বোঝা যায় নিয়মরক্ষায় তৃতীয়স্থান নির্ধারক ম্যাচেও কতটা সিরিয়াস ছিল মালি। তাঁরা অন্তত তৃতীয় হতে চেয়েছিল। শেষপর্যন্ত সাম্বার দেশই পেল ভারত-বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান।