নেইমারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ব্রাজিল দলের এই দিক, সেদিকেই ফোকাস সাম্বাবাহিনীর
ব্রাজিল নেইমারকে নিয়ে মাতামাতিকে বিশেষ আমল দিচ্ছে না। বরং সকলেরই হাবভাব খুব স্বাভাবিক।
ব্রাজিল দলের মূল আকর্ষণ নেইমার। তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বিশেষ করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও লিওনেল মেসি বেরিয়ে যাওয়ার পরে এই সুপারস্টারের দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে। নেইমার কি পারবেন ব্রাজিলকে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ এনে দিতে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আর কিছুদিনের অপেক্ষা।
১৯৫৮ সালে শেষবার ইউরোপের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। তারপরে ফের সুযোগ এসেছে ইউরোপ থেকে বিশ্বকাপ ঘরে আনার। ফলে নেইমারকে নিয়ে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
সব বিশ্বকাপেই গোল স্কোরারদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাতামাতি হয়। তবে ঘটনা হল, যে দলের ডিফেন্স যত মজবুত, তাঁরাই বিশ্বকাপ জেতার সবচেয়ে কাছাকাছি শেষ করে। ২০১৪ সালে জার্মানি ৭ ম্যাচে ৪ গোল খেয়েছে। ২০১০ সালে স্পেন মাত্র ২ গোল খেয়েছিল। ২০০৬ সালে ইতালিও ২টিই মাত্র গোল খেয়েছিল।
আর এই পরিসংখ্যান সব দলই জানে। তাই ব্রাজিল নেইমারকে নিয়ে মাতামাতিকে বিশেষ আমল দিচ্ছে না। বরং সকলেরই হাবভাব খুব স্বাভাবিক। সকলেই জানেন, দলের একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে সবসময়ই বেশি মাতামাতি হয়। এতে এত হইচইয়ের কিছু নেই।
পেলে, জিকো, সক্রেটিস, রোমারিও, রোনাল্ডো- বিভিন্ন বিশ্বকাপে সেরা খোলোয়াড়রা খেলেছেন, তাদর নিয়ে চর্চা হয়েছে। তবে ব্রাজিলের ফোকাস সরেনি। এবারও ব্রাজিলের মূল ফোকাস ডিফেন্স সামলানো। ২০০২ সালে শেষবার ব্রাজিল যে বিশ্বকাপ জিতেছিল, সেবার নক আউটে ব্রাজিল মাত্র ১টি গোল খায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ফলে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাইছে তিতের ব্রাজিল।
গত ২৮ ম্যাচে ব্রাজিল মাত্র ৮টি গোল খেয়েছে। গত বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ১-৭ গোলে হারার পরে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তিতের ব্রাজিল। দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় কেসেমিরো বলছেন, দলের ১১ জন খেলোয়াড়ই ডিফেন্স করবে, ১১জনই আক্রমণেও উঠবে। তাই ডিফেন্সকে জোরদার করেই ফের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে সাম্বা বাহিনী।