ভারতীয় ফুটবলে চুনির কৃতিত্বকে কুর্নিশ কেন্দ্রের, কলকাতায় বিশেষ সংবর্ধনা
ক্রীড়াজগতের জন্য় তাঁদের অপরিসিম অবদানের জন্য় কিংবদন্তি ফুটবলার চুনি গোস্বামীকে সংবর্ধনা জানাল কেন্দ্র। এদিনই আরেক কিংবদন্তি ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর
ক্রীড়াজগতের জন্য় তাঁদের অপরিসিম অবদানের জন্য় কিংবদন্তি ফুটবলার চুনি গোস্বামীকে সংবর্ধনা জানাল কেন্দ্র। শনিবার সল্টলেকের সাঁই কমপ্লেক্সে তাঁর হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেকও তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। সেইসঙ্গে এদিনই আরেক কিংবদন্তি ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর।
বর্তমান প্রজন্ম যতই আইএসএল বা বিদেশি ফুটবলে মজে থাকুক, চুনি গোস্বামীকে চেনে না, এমন ক্রীড়াপ্রেমী বোধহয় বাংলায় নেই। খেলাধুলোর বাণিজ্যিকরণের অনেক আগেই অবসর নিয়েছেন তিনি। নিজের সারাটা জীবন একটাই ক্লাব মোহনবাগানের জন্য অর্পণ করেছেন তিনি। এমনকী টটেনহাম হস্পারের সঙ্গে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েও হেলায় সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। কারণ একটাই, বাগান ছেড়ে যাবেন না কোথাও। ৫০ ও ৬০-এর দশকে ভারতীয় দলের হয়ে ৫০টি ম্যাচ খেলে ৩২টি গোল তাঁর ঝুলিতে রয়েছে। তাঁর এই রেকর্ড এখনকার ফুটবলারদের জন্যও ঈর্ষার কারণ হতেই পারে। সেই চুনি গোস্বামীকেই এদিন বিশেষ সংবর্ধনা দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
এখানেই শেষ নয়। বল পায়ে যেমন জাদু দেখিয়েছেন, ব্যাট হাতেও কামাল করেছেন চুনি গোস্বামী। রণজি ট্রফিতে বাংলাকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি মোট ৪৬টি ম্যাচও খেলেছেন তিনি। একটি শতরান ও ৭টি অর্ধশতরান দিয়ে সাজানো তাঁর ক্রিকেট ইনিংসও।
শনিবারই আরেক কিংবদন্তি ফুটবলার পিকে-র সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। চুনি গোস্বামীর মতই পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জানেনা এমন ক্রীড়াপ্রেমী বোধহয় এই বাংলায় কেউ নেই। এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেই তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানেই পিকে-র সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। খোঁজ খবর নেন তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়েও।