ভাল ফুটবলের প্রতিচ্ছবি রোমার, তবু বিদায় নিতে হল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি পর্বের ম্যাচে লিভারপুলকে ৪-২ গোলে হারিয়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হল রোমাকে। এগ্রিগেডে ৭-৬ গোলে লিভারপুলের কাছে হেরে বিদায় নিল রোমা।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল রোমার। ঘরের মাঠে ভারতীয় সময়ে বুধবার গভীর রাতে স্টেডিও অলেম্পিকো স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ফিরতি পর্বের ম্যাচে লিভারপুলকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দেয় রোমা।
সেমিফাইনালে প্রথম লেগের ম্যাচে লিভারপুলের ঘরের মাঠ ৫-২ গোলে হেরে যাওয়ায় এই ম্যাচে জিততেই হত রোমাকে এবং জিততে হত অন্তত তিন গোলের ব্যবধানে। ফলে বড় ব্যবধানে জয় পাওয়ার জন্য এদিন শুরু থেকেই মরিয়া ছিল রোমার ফুটবলাররা। প্লেয়ারদের মধ্যেও এদিন তাগিদটা ছিল চোখে পড়ার মতো। হাফ চ্যান্সেও এদিনে ম্যাচে ঝাঁপিয়ে পড়েন রোমার ফুটবলাররা। কিন্তু প্রশংসনীয় ফুটবল খেললেও অসাধ্য সাধন করা হল না রোমার।
ইতালির দলটি শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবলের উপর জোর দিলেও এই ম্যাচেও প্রথম গোল তুলে নেয় লিভারপুল। ম্যাচের নয় মিনিটে রবার্তো ফিরমিনোর পাস থেকে গোল করে যান সাদিও মানে। অ্যানফিল্ডে একাধিক গোল মিস করা মানে তিন কাঠিতে বল রাখতে ভুল করেননি।
এই
লিড
দীর্ঘক্ষণ
ধরে
রাখতে
পারেনি
লিভারপুল।
১৫
মিনিটে
রোমার
আক্রমণকে
বিপদমুক্ত
করতে
গিয়ে
নিজেদের
জালেই
জড়িয়ে
দেন
লিভারপুলের
জেমস
মিলনার।
আত্মঘাতী
গোলে
ম্যাচে
সমতা
ফেরায়
রোমা।
এই
সময়
ম্যাচের
ভাগ্য
দেখলে
মনে
হতে
পারে
এ
যেন
ঠিক
পেন্ডুলামের
মতো।
এক
বার
এর
দিকে
তো
পর
মুহূর্তেই
অন্য
দিকে।
রোমা
ম্যাচে
সমতা
ফেরানোর
১০
মিনিটের
মাথায়
লিভারপুলকে
এগিয়ে
দেন
জর্জিনো।
প্রথমার্ধে
বহু
চেষ্টা
করেও
আর
গোল
শোধ
করতে
পারেনি
রোমা।
একই
ভাবে
গোলের
সংখ্যা
বাড়াতে
ব্যর্থ
হয়
লিভারপুলও।
প্রথমার্ধ
শেষে
খেলার
ফল
ছিল
লিভারপুলের
পক্ষে
২-১।
দ্বিতীয়ার্ধে
রোমা
মাঠে
নামার
পর
যেন
লিভারপুলের
পুরো
হিসেবটাই
বদলে
দিল
বিভিন্ন
মুহূর্তে।
দ্বিতীয়ার্ধের
শুরুতেই
ম্যাচের
৫২
মিনিটের
মাথায়
গোল
করে
রোমাকে
ম্যাচে
সমতায়
ফিরিয়ে
আনে
এডিন
জেকো।
ম্যাচে
সমতা
ফিরিয়ে
আনার
পর
আক্রমণের
তীব্রতা
আরও
বাড়িয়ে
দেয়
রোমা।
ম্যাচের
৮৬
মিনিটে
কোলারভের
পাস
থেকে
গোল
করে
ম্যাচে
প্রথম
বারের
জন্য
রোমাকে
এগিয়ে
দেন
রাদজা
নেইনগোলান।
দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ের অন্তিম পর্যায় পেনাল্টি পায় রোমা। পেনাল্টি থেকে গোল করে লিভারপুলের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন সেই রাদজা-ই। কিন্তু ভাল খেলেও মাথা নীচু করেই মাঠ ছাড়তে হল রোমাকে। প্রথম লেগে ৫-২ গোলে হারায় এগ্রিগেডে ৬-৭ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন লিগ থেকে বিদায় নিল রোমা।
এ
দিন
গোটা
ম্যাচেই
রোমার
দাপট
যে
বেশি
ছিল,
তা
বোঝা
যায়
ম্যাচের
স্ট্যাটিস্টিক্স
দেখেই।
গোটা
ম্যাচে
৫৮
শতাংশ
বল
দখল
ছিল
রোমার।
লিভারপুলের
ছিল
৪২
শতাংশ।
১৪টি
গোল
লক্ষ
করে
শট
মারে
রোমা
যার
মধ্যে
ছ'টি
ছিল
অন
টার্গেট।
এদিনের
ম্যাচে
৭টি
কর্নার
অর্জন
করে
রোমা,
কিন্তু
লিভারপুল
পায়
৩টি।
ফাউলের পরিমান ছিল লিভারপুলের লক্ষ করার মতো। ১২টি ফাউল করে লিভারপুলের ফুটবলাররা। সেখানে রোমা করে ৮টি ফাউল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে লিভারপুল।