ষাটের দশকের দুর্ধর্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংকে নাকানিচোবানি খাইয়েছিলেন 'ক্রিকেটার' চুনী গোস্বামী
ষাটের দশকের দুর্ধর্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংকে নাকানিচোবানি খাইয়েছিলেন 'ক্রিকেটার' চুনী গোস্বামী
নক্ষত্রপতন চলছেই। বুধবার ইরফান খানের পর বৃহস্পতিবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রুপোলি পর্দার কিংবদন্তি অভিনেতা ঋষি কাপুরের প্রয়াণের খবর ধাক্কা দিয়েছিল। বিকেল গড়াতেই ভারতীয় ফুটবলে এবার দুঃসংবাদ। পিতৃহারা ভারতীয় ফুটবল। ৮২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ১৯৬২ এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ফুটবল দলের অধিনায়ক চুনী গোস্বামী। বন্ধু প্রদীপ বন্দোপাধ্যায় একমাস আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন। এবার চিরনিদ্রায় চুণী গোস্বামী।
কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্সের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন চুনী
১৯৬৬ সালে গ্যারি সোবার্সের নেতৃত্বে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের সম্মিলিত দলের হয়ে খেলেছিলেন চুনী গোস্বামী। ফুটবল জীবনের পর ক্রিকেটার হিসেবে চুনীর দারুণ সুনাম ছিল। ইন্দোরে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন চুনী।
ইনসুইংয়ে ক্যারিবিয়ানদের সমস্যায় ফেলেছিলেন চুনী
চুনীর সেই বোলিং নিয়ে ২০১৮ সালে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় দলজিৎ সিং বলেছিলেন, 'ইন্দোরে নতুন স্টেডিয়ামে নতুন গ্রিন টপ পিচ। চুনী ইনসুইং করতে পারত। বল হাতে ওটা ওর শক্তি ছিল। সঙ্গে লেট কাটার। সেই ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের তারকারা চুনীর ইনসুইং ও কাটার সামলাতে সমস্যায় পড়েছিলেন।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চুনীদের জয়
বিহারের প্রাক্তন অধিনায়ক দলজিৎ আরও জুড়েছিলেন, 'সেই সময় ঘরোয়া ক্রিকেটে মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের দল সবচেয়ে দুর্বল ছিল। উল্টে দিকে ক্লাইভ লয়েড, গ্যারি সোবার্সদের মতো ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইনিংস ও ৪৪ রানে ম্যাচ হেরেছিল। '
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ইনিংসে পাঁচ উইকেট
সেই ম্যাচে ৯৭ রান খরচে চুনী গোস্বামী ৮ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৪৭ রান খরচ করে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৩ উইকেট নেন।
উচ্চ মানের অ্যথলিট ছিলেন চুনী
এছাড়া ব্যাটে গুরুত্বপূর্ণ ২৫ রান ও অবিশ্বাস্য একটি ক্যাচ নিয়েছিলেন চুনী। মিড উইকেট থেকে স্কোয়ার লেগে দৌড়ে শরীর ছুঁড়ে দিয়ে লেস্টার কিংকে আউট করেছিলেন। উচ্চমানের অ্যাথলিট হওয়ায় সেযুগে এমন অবিশ্বাস্য ক্যচটি নিতে পেরেছিলেন চুনী।
বাংলাকে রঞ্জি ফাইনালে তুলেছিলেন
১৯৭২ সালে চুণী গোস্বামীর নেতৃত্বে বাংলা রঞ্জি ফাইনাল খেলেছিল । ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে তাঁর রেকর্ডও নেহাত খারাপ নয়। ৪৬টি ম্যাচ খেলে ১৫৯২ রান করেছিলেন। বল হাতে তিনি ৪৭ উইকেট নেন। ৭২ সালে অধিনায়ক হিসেবে বাংলাকে রঞ্জি ফাইনালের তোলার আগে ১৯৬৯-এর রঞ্জিতে ক্রিকেটার হিসেবে ফাইনালের দু-ইনিংসে চুনী ৯৬ এবং ৮৪ রান করেছিলেন
করোনা উদ্বেগের মাঝে স্প্যানিশ কোচ নিয়োগ এফসি গোয়ার