করোনার পর প্রিমিয়ার লিগের প্র্যাকটিসে নিষিদ্ধ ট্যাকেল! ৯ নির্দেশিকা কী কী দেখে নিন
করোনার পর প্রিমিয়ার লিগের প্র্যাকটিসে নিষিদ্ধ ট্যাকেল! ৯ নির্দেশিকা কী কী দেখে নিন
করোনা উদ্বেগের মাঝে ফুটবল শুরুর দামামা বেজে গিয়েছে। ১৬ মে থেকে বুন্দেসলিগা শুরু। প্রিমিয়ার লিগের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে লিগ শুরুর সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। এবার লিগ শুরুর আগে প্র্যাকটিসের জন্য নিয়মকানুন বেঁধে দিল প্রিমিয়ার লিগ কমিটি।
সামাজিক দূরত্ব নীতি মেনে নিষিদ্ধ ট্যাকলিং!
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন সামাজিক দূরত্ব নীতি মেনে চলার জন্য ইপিএলের প্র্যাকটিসে ট্যাকলিং নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এখন থেকে প্র্যাকটিসে কোনভাবেই ট্যাকল করা যাবে না।
অনুশীলনের নিয়ম
বিশ্বে করোনা এখনও নির্মূল হয়নি। তাই অনুশীলনে কোনও রকম ঝুঁকি না নেওয়া নিয়েছে সতর্ক কর্তৃপক্ষ। এক সঙ্গে পাঁচ জনের বেশি ফুটবলার প্র্যাকটিস করতে পারবেন না বলে নিয়ম হয়েছে। এটি প্রিমিয়ার লিগ নতুন করে শুরুর আগে প্র্যাকটিসের অন্যতম মূল শর্ত।
ড্রেসিংরুম
নতুন নির্দেশে ফুটবলারদের তিনটি বা চারটে ড্রেসিংরুমে ভাগ করে দেওয়া হবে। ফুটবলারদের নিয়ে আলাদা আলাদা গ্রুপ হবে। এভাবেই গ্রুপ করেই ফুটবলাদের প্র্যাকটিস হবে। এখন প্র্যাকটিসে ফুটবলাররা ৭৫ মিনিট মাঠে থাকতে পারবেন, তার বেশি থাকা চলবে না।
জীবাণুমুক্ত মাঠ
করোনা উদ্বেগকে মাথায় রেখেই প্রস্তুতি মাঠে এখন সম্পূর্ণ জীবণুমক্ত করতে হবে। শুধু মাঠ নয়, বল, গোলপোস্ট, অনুশীলনের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি অংশকে গুরুত্ব দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
করোনা পরীক্ষা
প্রতিটি ক্লাবের ফুটবলার-কোচ-সাপোর্ট স্টাফদের সপ্তাহে দু'বার করে করোনা পরীক্ষা করা হবে। করোনা সংক্রমণ হলে শুরুতেই যাতে ধরা যায় এবং পৃথকীকরণ করে আইসোলেশন শুরু করা যায় সেকারণেই বারবার পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
টিম মিটিং
প্রস্তুতি এবং ম্যাচের আগে দুই ক্ষেত্রেই ফুটবলারদের নিয়ে টিম মিটিংয়ে অবশ্যই দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বলে নির্দেশ রয়েছে। অনলাইনে টিম মিটিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গোলের সেলিব্রেশন নিষেধ
করোনার পর ইপিএল শুরু হলে ম্যাচে গোলের সেলিব্রেশন নিষিদ্ধ। উল্লেখ্য এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার কে লিগে করোনা পরবর্তী সময় মাঠে বল গড়ালে ফুটবলাররা গোলের পর কনুই ঠেকিয়ে সেলিব্রেশন করেন। ইপিএলেও এবার এই দৃশ্য দেখা যাবে।
হ্যান্ডশেক পুরোপুরি বন্ধ
ম্যাচের সময় ফুটবলাররা আগে যেভাবে লাইন করে পাশাপাশি মাঠে নামতেন, এখন সেই দৃশ্য আর দেখা যাবে না। ম্যাচের আগে হ্যান্ডশেক পুরোপুরি বন্ধ থাকছে। রেফারিদের সঙ্গে ফুটবলাররা হাত মেলাবেন না।
চোট পেলে ফুটবলারের গায়ে হাত একমাত্র মেডিক্যাল টিমেরই
ম্যাচের মাঝে মাঠে কোনও ফুটবলার চোট পেলে একমাত্র দলের মেডিকেল টিমের সদস্যরাই সংশিষ্ট খেলোয়াড়ের গায়ে হাত দেবে। সতীর্থ বা বিপক্ষ দলের ফুটবলাররা চোট পাওয়া ফুটবলারের গায়ে হাত দিতে পারবেন না।
বিরাট বনাম ধোনির মধ্যে কাকে সেরা অধিনায়ক বাছলেন ধাওয়ান, বললেন সেরা ব্যাটসম্যানের নাম