হারিয়ে যাওয়া তিন মানুষের মধ্যে একজনকে খুঁজে পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো
ক্ষুদার্থ রোনাল্ডোকে ছোটবেলায় হ্যামবার্গার খাইয়েছিলেন। সেই মহিলাকেই দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন সিআর সেভেন।
ক্ষুদার্থ রোনাল্ডোকে ছোটবেলায় হ্যামবার্গার খাইয়েছিলেন। সেই মহিলাকেই দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন সিআর সেভেন।
রোনাল্ডোর সাক্ষাৎকার
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডো বলেছেন, 'জীবনে যত উপরেই উঠি না কেন, ছোটবেলার কঠিন পরিশ্রমের সময়টা ভুলতে পারব না। অর্থের অভাব ছিল, সেকারণে ছোটবেলার ট্রেনিংয়ের দিনগুলোয় যথেষ্ট পরিমাণে খাওয়া হত না। লিসবনে যে স্টেডিয়ামে আমাদের প্রস্তুতি থাকত, তার পাশে একটি ম্যাকডোনাল্ডসের দোকান ছিল। রাত এগারোটার পরে সেই দোকানে গিয়ে পিছনের দরজায় টোকা মারতাম। কোনও বার্গার পড়ে আছে কিনা জিজ্ঞাসা করতাম!' রোনাল্ডো ঐ ইন্টারভিউয়ে আরও বলেন, 'সেই সময় ম্যাকডোনাল্ডসের তিন মহিলা আমাদের জীবনে ত্রাতা হয়েছিলেন। সেই তিন মহিলাকে পরবর্তী সময়ে অনেক খুঁজলেও আর দেখা পাইনি। ওদের আজও আমি খুঁজে বেড়াই।'
একজনকে খুঁজে পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো
এই সাক্ষাৎকারের কয়েক দিনের মধ্যেই রোনাল্ডোর আশা পূর্ণ রয়েছে। রোনাল্ডোর কথা শুনে পর্তুগালের ঐ মহিলা মিডিয়ার সামনে এসেছেন। রোনাল্ডোকে নিয়ে ঐ মহিলা বলেন, 'আমি আমার ছেলেকে রোনাল্ডোকে বার্গার উপহার দেওয়া কথা বললে বিশ্বাস করেনি। কিন্তু আমার স্বামী ঘটনাটা জানে। ১২ বছরের রোনাল্ডোকে একাধিকবার দোকানে বার্গার চাইতে আসতে দেখেছে। আমি খুশি ফুটবল দুনিয়ার মহান ফুটবলার হয়েও আজও অতীতের কঠিন পথগুলো রোনাল্ডো মনে রেখেছে।'
রোনল্ডোর আমন্ত্রণ ও হ্যামবার্গার দেওয়া মহিলা
রোনাল্ডো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'ওনার সঙ্গে দেখা হলে, ওনাকে আমার বাড়িতে ডিনারের জন্য নিমন্ত্রণ করতে চাই। ' সেই আবদার শুনে পর্তুগাল থেকে ঐ মহিলা বলেছেন, 'রোনাল্ডোর মহানুভবতা দেখে আমি ভাষা হারিয়েছি। অবশ্যই ওর বাড়িতে ডিনারে যাওয়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করলাম।'