১৯৯৮-র পুনরাবৃত্তি ২০১৮-য়, কাকতালীয় মিল রেখেই নক-আউটে ডেনমার্ক
সংশয় কেটে গিয়েছিল অনেক আগেই। অস্ট্রেলিয়ার গোলে পেরু বল পাঠাতেই ডেনমার্ক প্রায় উন্নীত হয়ে গিয়েছিল নক-আউটে। অবশ্য সেই অঙ্কের আর প্রয়োজন রইল না।
সংশয় কেটে গিয়েছিল অনেক আগেই। অস্ট্রেলিয়ার গোলে পেরু বল পাঠাতেই ডেনমার্ক প্রায় উন্নীত হয়ে গিয়েছিল নক-আউটে। অবশ্য সেই অঙ্কের আর প্রয়োজন রইল না। ফ্রান্স ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট সংগ্রহ করেই ডেনমার্ক সি গ্রুপ থেকে রানার্স হয়ে শেষ ১৬-য় পৌঁছে গেল। যথারীতি ফ্রান্স গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হল।
ফ্রান্স এই ম্যাচ হারতে চায়নি। জেতার চেষ্টা যে করেনি, তা নয়। কিন্তু এদিন কোনও কিছুই সফল হয়নি গ্রিজম্যান-ডেম্বেলেদের। আক্রমণের পর আক্রমণ শানিয়েও গোল আসেনি। ডেনমার্কের বক্সে সব আক্রমণ ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। ফলে ফ্রান্সকে রুখে গ্রুপ রানার্স হয়ে বিশ্বকাপের পরবর্তী স্তরে চলে যায় ডেনমার্ক।
কাকতালীয়ভাবে এবার ১৯৯৮ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। ১৯৯৮ সালেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেবারও ফ্রান্স ও ডেনমার্ক মুখোমুখি হয়েছিল গ্রুপের শেষ খেলায়। সেবার ডেনমার্ক ফ্রান্সের কাছে হেরেও নক আউটে পর্বে পৌঁছেছিল। এবার ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের সি গ্রুপ থেকে কোয়ালিফাই করল।
মোট কথা, ফ্রান্স ও ডেনমার্ক উভয় টিমই রাশিয়া বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে চলে গেল এদিন। কোনও অঘটন ঘটল না। অস্ট্রেলিয়া পারল না পেরুকে হারিয়ে গ্রুপ সি-র লড়াই জমিয়ে দিতে। উল্টে তারাই হেরে বসল। ফলে ডেনমার্কের পথ পরিষ্কার হয়ে গেল আগেই। পেরু দুই অর্ধে দুই গোল করে অস্ট্রেলিয়ার সব আশায় জল ঢেলে দিল।
সেইসঙ্গে এদিনই প্রথম রাশিয়া বিশ্বকাপে গোলশূন্য ম্যাচ উপহার দিল ফ্রান্স ও ডেনমার্ক। কোনও গোল হল না এই ম্যাচে। নিষ্ফলা এই ম্যাচ থেকে যা কিছু প্রাপ্তি ঘটল ডেনমার্কের। ডেনমার্কের এক পয়েন্ট দরকার ছিল। তারা তাদের লক্ষ্যে সফল। ফ্রান্স ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়েই ড্যাংডেঙিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে চলে গেল ডেনমার্ক।