এখনও কথা বলেনি কোনও ক্লাব, বললেন হতাশ গার্সিয়া
ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে গার্সিয়ার ভূমিকা কী, তা আর কাউকে বলে বোঝাতে লাগে না। কিন্তু এই গার্সিয়ারই কোনও দল নেই বর্তমানে। দল না পেয়ে হতাশ গার্সিয়া এখন অপেক্ষা করছেন দেশে ফেরার টিকিটের জন্য়।
ভারতীয় ফুটবলে তিনি অধিকাংশ সময়ই কাটিয়েছেন পর্দার আড়ালে। যে দলেই থেকেছেন সেই দলেই উজাড় করে দিয়েছেন নিজেকে। তিনি মিরান্ডা গার্সিয়া। দলের সাফল্যের পিছনে ফুটবলারদের ভূমিকার থেকে কোনও অংশেই কম নয় এই বাজ্রিলীয়র অবদানমোহনবাগানে থাকাকালীন তাঁর তত্বাবধানেই ফুটবলকে ফিরে পেয়েছিলেন তারকা স্ট্রাইকার বলবন্ত সিং। চোটের কারণে একটা সময় প্রশ্নের মুখে ছিল বলবন্তের কেরিয়ার।
[আরও পড়ুন:ভাল ফুটবলের প্রতিচ্ছবি রোমার, তবু বিদায় নিতে হল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে]
সেই বলবন্তকে নিজের দায়িত্বে একা ট্রেনিং করিয়ে ফিরিয়ে আনেন ফুটবলের মূলস্রোতে। কিন্তু এই গার্সিয়ার-ই বর্তমানে কোনও দল নেই ভারতীয় ফুটবলে।
মোহনবাগানকে ক্রমাগত সেবা করা গার্সিয়েক গত মরসুমে আর দলের সঙ্গে রাখেনি ক্লাব কর্তারা। অভিমানী গার্সিয়াকে তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। প্রতি বছরই মরসুমের মাঝপথে চোট আঘাত জনিত সমস্যায় মিনি হাসপাতালে পরিণত হত ইস্টবেঙ্গল। মরসুমের মাঝ পথে চোট হয়ে উঠত ফুটবলারদের ছায়াসঙ্গী। কিন্তু এই পুরো ঘটনাই আপাদমস্তক বদলে যায় গার্সিয়া ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়ার পর। তাঁর তত্বাবধানে গত মরসুমে সে অর্থে চোটের কবলে পরতে হয়নি কোনও ফুটবলারকেই। বরং দীর্ঘ দিন চোট নিয়ে মাঠের বাইরে থাকা কেভিন লোবো মাঠে ফিরে আসেন তাঁর কারনেই।
কিন্তু
নতুন
মরসুমের
জন্য
এখনও
গার্সিয়ার
সঙ্গে
কথাই
বলেনি
লাল-হলুদ।
ইস্টবেঙ্গলের
অর্থভাণ্ডারে
টান
থাকাতেই
এখনও
গার্সিয়ার
সঙ্গে
কোনও
কথা
হয়নি
বলে
জানান
লাল-হলুদের
এক
শীর্ষ
কর্তা।
মনে
করা
হয়েছিল
এই
সুযোগটাকে
কাজে
লাগিয়ে
ঘরের
ছেলেকে
ঘরে
ফেরাতে
উদ্দ্যোগী
হবে
মোহনবাগান।
কিন্তু
নিজেদের
ডামাডোল
পরিস্থিতিতে
নাজেহাল
সবুজ-মেরুনও
কথা
বলেনি
গার্সিয়ার
সঙ্গে।
\এছাড়া
আইএসএল
বা
এই
লিগের
কোনও
ক্লাবই
এখনও
তাঁর
সঙ্গে
যোগাযোগ
করেনি।
স্বভাবতই
তাই
অভিমানী
গার্সিয়া।
তিনি
বলেন,
'ইস্টবেঙ্গলের
থেকে
এখনও
পেমেন্ট
বাকি
আছে।
আমি
দেশে
ফেরার
টিকিট
পেলেই
দেশে
চলে
যাব।
এখনও
কোনও
দলই
যোগাযোগ
করেনি
আমার
সঙ্গে।
আমি
চেয়েছিলাম
ভারতীয়
ফুটবলকে
সেবা
করতে।
কিন্তু
কেউই
এখনও
কথা
বলেনি
আমার
সঙ্গে।
দেখি
ইস্টবেঙ্গল
কী
সিদ্ধান্ত
নেয়!'
এখন
এটাই
দেখার
পেশাদারিত্বের
মোড়কের
আড়ালে
থাকা
দেশের
অপেশাদার
ক্লাবগুলি
আদৌ
গার্সিয়ার
মর্ম
বা
মূল্য
বুঝতে
পারে
কি
না!