স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের, ডুরান্ড কাপ জিতল গোকুলাম
ঘরের মাঠে ডুরান্ড কাপ জেতা হল না মোহনবাগানের। ১৯ বছর পর ডুরান্ডের ফাইনালে উঠে প্রত্যাশা তৈরি করেও স্বপ্নভঙ্গ! সবুজ-মেরুন ব্রিগডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণের দল গোকুলাম এফসি।
ঘরের মাঠে ডুরান্ড কাপ জেতা হল না মোহনবাগানের। ১৯ বছর পর ডুরান্ডের ফাইনাল জয়ের প্রত্যাশা তৈরি করেও স্বপ্নভঙ্গ! সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণের দল গোকুলাম এফসি।
প্রথম বার ফাইনাল খেলেই ডুরান্ড জিতে যুবভারতীতে ইতিহাস লিখল গোকুলাম। দুটি অর্ধে গোকুলামের হয়ে দুটি গোল করেন অধিনায়ক মার্কাস জোসেফ। সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে টাইব্রেকারে হারানোর পর ফাইনালে মোহনবাগানকে হারিয়ে ভারতীয় ফুটবলের নতুন ভবিষ্যত হিসেবে নিজেদের তুলে ধরল গোকুলাম।
প্রথমার্ধে জোসেফ ম্যাজিকে এগিয়ে যায় গোকুলাম। ৪৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্কোরলাইন ১-০ করেন জোসেফ। গোকুলাম অধিনায়কের ঠিকানা লেখা পাস থেকে বল ধরে এগোচ্ছিলেন হেনরি। সেসময়ই পেনাল্টি বক্সের ভিতর বাগান গোলরক্ষক দেবজিৎ, হেনরিকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় গোকুলাম।
পেনাল্টিতে জোরালো শটে পোস্টের বাঁ-দিকে বল রাখেন ত্রিনিদাদ-টোবাগোর স্ট্রাইকার মার্কাস জোসেফ। দেবজিৎ বাঁ-দিকে শরীর ছুঁড়ে দিলেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে থেকে মাঠে ছাড়ে গোকুলাম।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এরপর জোসেফের দ্বিতীয় গোল। ৫১ মিনিটে মোহনবাগানের রক্ষণে ভেদ করে বাঁ-দিক থেকে আক্রমণ সানিয়ে গোল করে যান জোসেফ। ৫৮ মিনিটে এরপর জোসেফের পাস থেকে হেনরি গোলে শট নিলে দেবজিৎ সেই শট বাঁচান।
বাগানের হয়ে ৬৪মিনিটে এদিন একমাত্র গোল চামোরার। বেইতিয়ার ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করেন চামোরা। গোকুলামের গোলকিপার উবেইদ বল ধরলেও গ্রিপ করতে না পারায় বল জালে জড়ায়। এরপর বেশ কয়েকবার আক্রমণে এলেও মোহনবাগান আর গোলের দেখা পায়নি।