ইস্টবেঙ্গল জিতলেও কথা রাখতে পারলেন না ভৌমিক
ছন্দে ফিরলো ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে পাঠচক্রকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিল লাল-হলুদ। কলকাতা লিগ শুরুর আগেই সুভাস জানিয়েছিলেন প্রয়োজন না হলে ব্যবহার করবেন না মাহমুদ আল আমনাকে।
ছন্দে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে পাঠচক্রকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। এ দিন যে ফুটবলটা খেলল ইস্টবেঙ্গল, তাতে কলকাতা লিগে হ্যাটট্রিকের হ্যাটট্রিক করার স্বপ্ন দেখতেই পারেন লাল-হলুদ সমর্থকেরা।
এ দিন ম্যাচের প্রথম থেকেই ছন্দে পাওয়া যায় ইস্টবেঙ্গল ব্রিগেডকে। পাঠচক্রের বিরুদ্ধে লাল-হলুদ টিডি সুভাস ভৌমিকের নেওয়া দু'টি পরিবর্তনই বদলে দিল ইস্টবেঙ্গলের খেলা।
কলকাতা লিগ শুরুর আগেই সুভাস জানিয়েছিলেন প্রয়োজন না হলে ব্যবহার করবেন না মাহমুদ আল আমনাকে। কিন্তু চাপে পড়ে মঙ্গলবার ম্যাচের প্রথম থেকেই আল আমিনকে খেলান সুভাস। এর সঙ্গে গত ম্যাচ ব্যর্থ হওয়া বালি গগনদীপের পরিবর্তে খেলান জবি জাস্টিনকে। দুই পরিবর্তনেই বাজি মাত ইস্টবেঙ্গলের।
ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় হেডে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন জবি। প্রথমার্ধের অন্তিমলগ্নে ৪২ মিনিটে পাঠচক্রের মনোতোষ চাকলাদার বক্সের মধ্যে হ্যান্ড বল করলে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি থেকে গোল করে লিড দ্বিগুন করেন লালডানমাওয়াইয়া রালতে। প্রথমার্ধ শেষে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে খেলার ফল ছিল ২-০।
প্রথমার্ধে যে ছন্দে খেলা শেষ করেছিল ইস্টবেঙ্গল সেই ছন্দেই শুরু করে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। সেই চেনা মেজাজ, সেই চেনা আক্রমণে বহু দিন পর খুঁজে পাওয়া গেল পুরনো ইস্টবেঙ্গলকে। এ দিন গোটা ম্যাচেই অসাধারণ ফুটবলের প্রতিচ্ছবি রাখে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে পাঠচক্রের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন সেই জবি জাস্টিন। ফাকা নেটে প্লেসমেন্টে গোল করে যান বিজয়নের রাজ্যের এই স্ট্রাইকার।
গত ম্যাচে আটকে যাওয়ার পর আজ শাঁড়াসির চাপে ছিল সুভাস ভৌমিকের উপর। ফলে লিগের অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বড় জয় পাওয়ায় স্বভাবতই স্বস্তিতে ইস্টবেঙ্গল টিডি সুভাস ভৌমিক।