কোয়েসের সঙ্গে যুদ্ধের আবহেই ফুটবলারদের জন্য মস্ত বড় পদক্ষেপ ইস্টবেঙ্গলের
কোয়েসের সঙ্গে যুদ্ধের আবহেই ফুটবলারদের পাশে দাঁড়িয়ে বড় পদক্ষেপ ইস্টবেঙ্গলের
করোনা ভাইরাস এবং কোয়েসের সঙ্গে যুদ্ধের আবহেই ফুটবলারদের জন্য বড় পদক্ষেপ নিল ইস্টবেঙ্গল। গত তিন মাস ধরে যে কালির দাগ মুছতে হিমশিম খাচ্ছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা, তা কিছুটা হলেও মুছতে সক্ষম হলেন তাঁরা। একই সঙ্গে দলের ফুটবলারদের আস্থা কিছুটা হলেও অর্জন করল রেঞ্জার্সরা।
ফুটবলারদের বেতন শোধ দিল ইস্টবেঙ্গল
করোনা ভাইরাসের আবহে দুই মাসের বকেয়া বেতন চেয়েও না পেয়ে ফিফার দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের দেশি-বিদেশি ফুটবলার ও সাপের্ট স্টাফরা। তাই হয়তো তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করলেন লাল-হলুদের কর্তারা। দলের ফুটবলারদের এপ্রিল মাসের বেতন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তা থেকে ফুটবল মহলের অনুমান, কোয়েসের সঙ্গে হয়তো দ্বন্দ্ব মিটতে চলেছে লাল-হলুদের।
ইস্টবেঙ্গল-কোয়েস দ্বন্দ্ব ও বেতন বকেয়া
করোনা ভাইরাস সহ নানা অজুহাত দেখিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস। ফলে মে মাসের বেতন থেকে বঞ্চিত হন লাল-হলুদের ফুটবলাররা। তাঁদের অ্যাকাউন্টে এপ্রিল মাসের বেতনও ঢুকছিল না বলে অভিযোগ। চুক্তি অনুযায়ী চলতি মরশুমের শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের বেতন দেওয়ার দায়িত্ব কোয়েসের। ৩১ মে পর্যন্ত বেতন পাওয়ার কথা ফুটবলারদের। কিন্তু সূত্রের খবর, কোয়েস কর্তা সঞ্জিত সেন নাকি ই-মেলের মাধ্যমে লাল-হলুদ খেলোয়াড়দের জানিয়ে দিয়েছেন যে ৩০ এপ্রিলেই শেষ হয়েছে চুক্তি।
ইস্টবেঙ্গল ও কোয়েসের বিচ্ছেদ
২০১৮ সালের জুলাইতে বিনিয়োগকারী কোয়েসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এরপর থেকে কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি প্রাইভেট লিমিটেড হিসেবে চিহ্নিত হয় লাল-হলুদ। ক্লাবের ৭০ শতাংশ স্টেক নিজেদের হাতে রেখেছিল বেঙ্গালুরুর বিনিয়োগকারী সংস্থা। কিন্তু সময়ের আগেই নিজেদের তলপি-তলপা গুটিয়ে ফেলে কোয়েস। আনুষ্ঠানিক ভাবে লাল-হলুদের সঙ্গে নিজেদের বিচ্ছেদও ঘোষণা করেছে বেঙ্গালুরুর বিনিয়োগকারী সংস্থা।
বেতনের দাবিতে ফুটবলারদের পদক্ষেপ
বেতনের দাবিতে প্রথমে প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বা এফপিএআই-র দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। তাতে কাজ না হওয়ায় তাঁরা সরাসরি কোয়েসকেই চিঠি লেখেন। ফিফার নিয়মকে সামনে রেখে দাবি মানা না হলে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গ করে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার হুমকিও দেন ফুটবলাররা। অন্যদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে কোয়েস ও ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের চিঠি লেখেন দলের বিদেশি ফুটবলার এবং কোচ। ফিফার দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দেন তাঁরা।
আটকে যান অ্যাকোস্টা
কোয়েস ও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে ফিফায় যাওয়ার হুমকি দেন কোস্টারিকার বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টাও। চুক্তি মতো অ্যাকোস্টার বেতন শোধ দেওয়া তো দূর, তাঁর দেশে ফেরার টিকিটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি বলে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
কোয়েসের কী জবাব
ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের চিঠির জবাব দিয়েছিল ক্লাবের সদ্য প্রাক্তন বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস। দুই মাসের বেতন অমিলের অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছিল বেঙ্গালুরুর সংস্থা। বক্তব্য, কর্পোরেট দুনিয়ায় তাদের যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। লাল-হলুদ ফুটবলারদের বেতন আটকে রেখে তারা নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দিতে পারে না বলেও জানিয়েছিল কোয়েস।
করোনা সংকট কাটিয়ে ভারতে কবে শুরু হতে পারে আইএসএল