সন্ধে নামতেই কলিঙ্গে জ্বলে উঠল লাল-হলুদ মশাল, রালতের লক্ষ্যভেদে সেমিতে ইস্টবেঙ্গল
কলিঙ্গ সন্ধ্যা নামতেই জ্বলে উঠল লাল-হলুদ মশাল। সৌজন্যে লালডানমাউইয়া রালতে। ইনুজুরি টাইমেই শেষ মিনিটের পেনাল্টি গোলে সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছল ইস্টবেঙ্গল।
ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা নামতেই জ্বলে উঠল লাল-হলুদ মশাল। সৌজন্যে লালডানমাউইয়া রালতে। ইনুজুরি টাইমেই শেষ মিনিটের পেনাল্টি গোলে সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আইজল এফসির সঙ্গে ম্যাচ যখন নিশ্চিত অতিরিক্ত সময়ের দিকে গড়াচ্ছে, তখনই মোহনবাগান-ফেরত ক্রোমার গোলমুখী দৌড় জয়ের কড়ি জোগাড় করে দিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের।
এদিন খেলার ৯৪ মিনিট পর্যন্ত ছিল গোলশূন্য। দু-পক্ষই সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ। এই অবস্থায় ম্যাচের ফয়সালা অতিরিক্ত সময়েই হবে নতুন ম্যাচ গড়াবে টাইব্রেকারে, এমনটা যখন প্রায় নিশ্চিত, তখনই ঘটল নাটক। আইজলের গোলকিপার ইস্টবেঙ্গল স্ট্রাইকার ক্রোমাকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। সেই পেনাল্টি গোলে রুপান্তরিত করতে কোনও ভুলচুক করেননি রালতে।
এদিন ম্যাচের আট মিনিটেই একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন ডুডু। কাটসুমির পাশ থেকে আমনা দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল বাড়িয়েছিলেন ডুডুর উদ্দেশ্য। কিন্তু অফসাইডের কারণে ব্যর্থ হয় সেই প্রয়াস। তিন মিনিট বাদেই কাটসুমির পাশ থেকে ডুডুর আরও একটি প্রয়াস আটকে দেন বিপক্ষ গোলরক্ষক।
পরের মিনিটেই ইস্টবেঙ্গের একটি পেনাল্টির আবেদন বাতিল করেন রেফারি। এরপর দু-পক্ষই একাধিক সুযোগ পেয়েছে। শেয মুহূর্তে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইস্টবেঙ্গল চাপ সৃষ্টি করে আইজলের পেনাল্টি বক্সে। সেই চাপের মুখেই ভেঙে পড়ে আইজলের ডিফেন্স। শেষমেশ একেবারে অন্তিমমুহূর্তে একটি ভুলেই শেষ হয় আইজলের সুপার কাপের স্বপ্ন।