সুভাষেই থাকল লাল-হলুদ, মেয়াদ পূরণের আগেই খালিদ বিদায়
রেজাল্টটা কী হতে পারে জানাই ছিল। শুধু অপেক্ষা ছিল ঘোষণার। আর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে সেটাও হয়ে গেল।
রেজাল্টটা কী হতে পারে জানাই ছিল। শুধু অপেক্ষা ছিল ঘোষণার। আর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে সেটাও হয়ে গেল। লাল-হলুদের কর্তারা জানিয়ে দিলেন খালিদ জামিল আর ইস্টবেঙ্গলের কোচ থাকছেন না। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ইস্টবেঙ্গলকে বিদায় জানাতে হচ্ছে খালিদকে।
ব্যর্থতা দায়ে কোচ বিদায় ময়দানে নতুন কোনও ঘটনা নয়। খালিদ জামিল এই তালিকায় একটা সংযোজিত নাম মাত্র। আর ঘটনাচক্রে এদিন মহমেডান স্পোর্টিং-ও তাঁদের কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে ছাঁটাই করেছে।
খালিদ বিদায় যে হচ্ছে তা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল সুপার-কাপের ফাইনালের পরই। আইজল এফসি-কে আইলিগ এনে দেওয়া খালিদ জামিলকে ২ বছরের জন্য কোচ করে নিয়ে এসেছিল ইস্টবেঙ্গল। সদ্য সমাপ্ত আইলিগ-এর মাঝপথেই দলের মধ্যে একদল সিনিয়র ফুটবলারের সঙ্গে মনোমালিন্য দিয়ে খালিদ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল লাল-হলুদ শিবিরে। সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে খালিদের এই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন ক্লাবের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের একাংশও।
আইলিগ জয় যে হচ্ছে না এটা নিশ্চিত হতেই আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন খালিদ। প্রায় দিন পনেরোর উপরে লাল-হলুদ কোনও কর্তার ফোনই তিনি ধরেননি। এরমধ্যেই টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে সুভাষ ভৌমিকের নিয়োগ খালিদের সঙ্গে ক্লাবের ঝামেলাকে নতুন মাত্রা দেয়। খালিদ জানিয়েও দিয়েছিলেন সুভাষ থাকলে তিনি কোচিং করাবেন না। তাঁকে কোচ করতে হলে সুভাষ ভৌমিককে সরাতে হবে। কিন্তু, ক্লাবের কর্মকর্তাদের একাংশের আশ্বাসে অবশেষে কলকাতাতে ফিরেও এসেছিলেন খালিদ। কিন্তু, সুভাষের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দেন আইলিগ জয়ী কোচ। সুভাষও পাল্টা তোপ দেগেছিলেন। শেষমেশ একটা সমঝোতায় সুপারকাপে সুভাষের সঙ্গে দল নিয়ে ওড়িশায় যান।
সুভাষ ও খালিদের মধ্যে ঝামেলা যে মেটার নয় তা ভালোই বুঝেছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। তাই সুপারকাপ ফাইনাল শেষ হতেই খালিদ বিদায়ের সিদ্ধান্ত মোটামুটি পাকাপাকি হয়ে গিয়েছিল।
এদিকে, সমস্ত বিতর্ক মিটিয়ে লালহলুদের কোচিং করাতে রাজি হয়ে যান খালিদ। কিন্তু কোচের ঘন-ঘন মেজাজ পরিবর্তনে আর ভরসা রাখতে পারছিলেন না লাল-হলুদের কর্তারা। বিশেষ করে খালিদের রগচটা মেজাজে বেশকিছু সিনিয়র ফুটবলারকে ধরে রাখাতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার ক্লাব তাবুতে এক বৈঠকে শেষপর্যন্ত সুভাষকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে রেখে খালিদ বিদায়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দেন শীর্ষ কর্তারা।
জানা গিয়েছে, সুভাষের অধীনে একজন কোচ রাখা হবে। কোচ পদের জন্য লাল-হলুদে ৬ নাম নির্বাচিত করা হয়েছে। এই ৬ জনের বায়োডাটা সুভাষ ভৌমিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সুভাষ ভৌমিক কোচের নাম চূড়ান্ত করবেন বলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সূত্রে খবর। যদিও, কোচ হিসাবে সুভাষ ব্রাজিলীয় ডগলাসকে চাইছিলেন। এই মুহূর্তে ব্রাজিলে রয়েছেন ডগলাস। কিন্তু, প্রাক্তন এই লাল-হলুদ ফুটবলার যে কোচিং ডিগ্রি নিয়েছেন তাকে স্বীকৃতি দেয় না এএফসি এবং এআইএফএফ। তাই ডগলাসকে কোচ হিসাবে পাওয়াটা অসম্ভব।