অবশেষে ঘরে ফেরা, কবে কলকাতা ছাড়ছেন জনি অ্যাকোস্টা?
অবশেষে ঘরে ফেরা, কবে কলকাতা ছাড়ছেন জনি অ্যাকোস্টা?
করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতি। ভারতে ২৫ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত চার দফায় লকডাউন হয়েছে। আর এই লকডাউনে ভারতে আটকে ছিলেন ইস্টবেঙ্গলর দুই ভিনদেশি ফুটবলার। ময়দানের দুই প্রধানের স্প্যানিশ ব্রিগেড মে মাসের শুরুতে দেশে ফিরতে পারলেও এই দুজনের দেশে ফেরার সুযোগ হয়নি। শেষ পর্যন্ত এবার দেশে ফিরতে চলেছেন দুই ফুটবলার ও এক ফিজিক্যাল ট্রেনার।
মার্চ থেকে গৃহবন্দি
করোনা আবহে বিশ্বজুড়ে সংকট। সেকারণে মার্চ থেকে নেইমারের ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গত বিশ্বকাপে খেলে ভারতে আসা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার জনি অ্যাকোস্টা ঘরবন্দি ছিলেন। সেই সঙ্গে মিডফিল্ডার কাশিম আইদারা ও ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নেদার গৃহবন্দি থাকেন।
বেতনে টান
দুই ফুটবলার ও ফিজিক্যাল ট্রেনার কোয়েসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। বিদেশিদের দাবি প্রথম মরসুমে দারুণ পেশাদারিত্ব দেখালেও চুক্তির শেষ বছরে কোয়েস একেবারেই পেশাদারিত্ব দেখায়নি। এপ্রিল থেকে তাঁরা বেতন পাননি বলেও অভিযোগ করেছেন।
কবে ঘরে ফিরতে চলেছেন জনি অ্যাকোস্টা
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ১১ জুন জনি অ্যাকোস্টা, কাশিম আইদারা ও কার্লোস নেদার দেশে ফেরার বিমান ধরতে পারেন। এয়ার ইন্ডিয়ার বন্দে ভারত বিমান পরিষেবার সৌজন্যে দেশে ফিরতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গলের তিন বিদেশি।
স্প্যানিশরা দেশে ফিরলে জনিরা কেন আটকে
লকডাউনের মাঝে ময়দানের স্প্যানিশ ব্রিগেডের সঙ্গে কলকাতা ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও টিকিট নেই এই অজুহাতে জনিকে কলকাতায় রেখে দেওয়া হয় বলে কোস্টারিকান বিশ্বকাপারের অভিযোগ।
দেশে ফেরানো দায়িত্বে ছিল কোয়েসের
৩১ মে বিনিয়োগকারী কোয়েসের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। তার আগে বেতন মিটিয়ে তিন জনের ঘরে ফেরার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা ছিল। যদিও বিনিয়োগকারী সংস্থা সেই নিয়ে উদ্যোগ না দেখালে বিষয়টি ঝুলে থাকে। জানা যাচ্ছে,ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে এজেন্ট মারফত তিন বিদেশির কাগজপত্র তৈরি করে তাঁদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।