রেড চিলিজের সঙ্গে কি সত্যিই গাঁটছড়া বাঁধছে ইস্টবেঙ্গল? নাকি অন্য কোনও সংস্থার সঙ্গে কথা?
রেড চিলিজের সঙ্গে কি সত্যিই গাঁটছড়া বাঁধছে ইস্টবেঙ্গল? নাকি অন্য কোনও সংস্থার সঙ্গে কথা?
বেঙ্গালুরুর সংস্থা কোয়েসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর থেকেই নতুন বিনিয়োগকারীর খোঁজ চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। সেই সূত্রে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের প্রোডাকশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থা রেড চিলিজের সঙ্গে লাল-হলুদ কর্তাদের প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়। সেই খবরের সত্যতা কতটা, তা ইস্টবেঙ্গলের এক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
কোয়েস বনাম ইস্টবেঙ্গল
করোনা ভাইরাস সহ নানা অজুহাত দেখিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস। ফলে মে মাসের বেতন থেকে বঞ্চিত হন লাল-হলুদের ফুটবলাররা। কোয়েস হাত উঠিয়ে নেওয়ায় ইস্টবেঙ্গলে খেলা বিদেশি ফুটবলারদের লকডাউনের মধ্যেই ফ্ল্যাট খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কোয়েস নিজেদের তলপি-তলপা গুটিয়ে ফেলেছে বলে খবর। তাদের কলকাতার অফিসও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নতুন বিনিয়োগকারীর খোঁজে ইস্টবেঙ্গল
টালমাটাল পরিস্থিতিতে নতুন বিনিয়োগকারীর খোঁজ শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল। আগামী মরশুমে আইএসএল খেলতে চাওয়া কলকাতার এই বড় ক্লাবের সঙ্গে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের প্রোডাকশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থা রেড চিলিজ গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে বলে খবর পাওয়া যায়। দুই পক্ষের মধ্যে অনেকটাই কথা এগিয়েছে বলেও শোনা যায়। কিন্তু সেই খবরের কোনও সত্যতা নেই বলে ইস্টবেঙ্গলের একটি সূত্র মারফত জানানো হয়েছে। প্রাথমিক আলোচনাতেই শাহরুখ খানের সংস্থা লাল-হলুদ শিবিরকে না বলে দিয়েছে বলেও খবর।
এফএমসিজি সংস্থা
সূত্রের খবর, রেড চিলিজের আশা ছেড়ে এবার এক আন্তর্জাতিক ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস বা এফএসসিজি সংস্থার সঙ্গে কথা বলছে ইস্টবেঙ্গল। কোনও অঘটন না ঘটলে এই চুক্তি সফল হবে বলেই জানানো হয়েছে। তবে ওই সংস্থার সঙ্গে বহু বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি করা হবে না বলে লাল-হলুদ শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে।
সময় এগিয়ে এসেছে
হাতে যে আর সময় নেই, তা ভালো ভাবেই জানেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তাই যত শীঘ্র সম্ভব নতুন বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সেরে নিজেদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে কলকাতার এই ক্লাব। তবে প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তারা আইএসএল খেলবেন বলে এখনও বিশ্বাস করেন লাল-হলুদের কর্তারা।