কোয়েসের থেকে 'বাধ্যতামূলক' স্পোর্টিং রাইটস নিতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গলের জবাব ফেডারেশনকে
কোয়েসের থেকে স্পোর্টিং রাইটস নিতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গলের জবাব ফেডারেশনকে
আনুষ্ঠানিক ভাবে বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও কাঁটা থেকেই যাচ্ছে। সদ্য প্রাক্তন বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েসের কাছ থেকে স্পোর্টিং রাইটস নিতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। এ ব্যাপারে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন বা এআইএফএফের চিঠির উত্তর কীভাবে দিলেন লাল-হলুদ কর্তারা।
কোয়েস-ইস্টবেঙ্গল দ্বন্দ্ব
করোনা ভাইরাস সহ নানা অজুহাত দেখিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস। ফলে মে মাসের বেতন থেকে বঞ্চিত হন লাল-হলুদের ফুটবলাররা। কোয়েস হাত উঠিয়ে নেওয়ায় ইস্টবেঙ্গলে খেলা বিদেশি ফুটবলারদের (ফ্রাম্সের কাশিম আইডারা, কোস্টারিকার জনি অ্যাকোস্টা) লকডাউনের মধ্যেই ফ্ল্যাট খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অবশেষে বিচ্ছেদ
এক মাস আগেই নিজেদের তলপি-তলপা গুটিয়ে ফেলেছিল কোয়েস। তাদের কলকাতার অফিসও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বেশকিছু দিন আগে। গত রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে লাল-হলুদের সঙ্গে নিজেদের বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছে বেঙ্গালুরুর বিনিয়োগকারী সংস্থা। এ ব্যাপারে কোনও জটিলতা নেই বলে কোয়েসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
কোয়েসের দাবি
ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তাদের সংঘাতের বিষয়টি মেনে নিয়েছে কোয়েস। জানিয়েছে, গত এপ্রিলেই তারা ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি শেষ করেছে। ইস্টবেঙ্গলের অধিকাংশ ফুটবলার তাদের পদক্ষেপ মেনে নিয়েছে বলেও দাবি কোয়েসের। কাউকে অন্ধকারে রাখার উদ্দেশ্য তাদের নেই বলেও জানিয়েছে বেঙ্গালুরুর বিনিয়োগকারী সংস্থা।
কোন অবস্থায় ইস্টবেঙ্গল!
আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হলেও ইস্টবেঙ্গলের স্পোর্টিং রাইটস নিজেদের হাতেই রেখে দিয়েছে। তা কবে হস্তান্তর করা হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত দিতে পারেনি বেঙ্গালুরুর সংস্থা। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন লাল-হলুদ কর্তারা। কারণ স্পোর্টিং রাইটস ছাড়া যে কোনও ফুটবল টুর্নামেন্টে অঁস নিতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগ খেলা থেকেও বঞ্চিত হবে রেঞ্জার্সরা।
ফেডারেশনকে জবাব
ক্লাব লাইসেন্সিং-এর কথা মাথায় রেখে ইস্টবেঙ্গল এবং কোয়েসের বিচ্ছেদের অবস্থান জানতে চেয়েছিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন বা এআইএফএফ। দুই সংস্থার মধ্যে হওয়া বিচ্ছেদের কাগজপত্র এবং সই চেয়েছেন প্রফুল প্যাটেলরা। লাল-হলুদ কর্তারা ফেডারেশনকে জবাব দিয়েছেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। বলেছেন, কোয়েসের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সব ঠিকঠাক হয়ে গেলে ফেডারশনকে জানানো হবে বলেও ইস্টবেঙ্গলের তরফে বলা হয়েছে।
কোয়েস-ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি
২০১৮ সালের জুলাইতে বিনিয়োগকারী কোয়েসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এরপর থেকে কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি প্রাইভেট লিমিটেড হিসেবে চিহ্নিত হয় লাল-হলুদ। ক্লাবের ৭০ শতাংশ স্টেক নিজেদের হাতে রেখেছিল বেঙ্গালুরুর বিনিয়োগকারী সংস্থা।