আই লিগের বল গড়ানোর আগেই নারদ -নারদ মোহন -ইস্টে, কারণ জানলে চমকে যাবেন
ক্রীড়াসূচিই এখনও স্থির হল না, তারমধ্যেই নারদ -নারদ মোহন, ইস্টের। তবে দু' দলের তরজা অন্য বিষয়ে।
এবারের আই লিগে মাঠে মহিলা দর্শকদের মাঠে আরও বেশি সংখ্যায় নিয়ে আসতে বিশেষ প্ল্যানিং ইস্টবেঙ্গলের। আইডিয়াটা আসে প্রথম অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের থেকে। বিশ্বকাপের সময় ফুল হাউস হয়েছে যুবভারতী। প্রচুর মহিলাও এসেছেন মাঠে। এবার ইস্টবেঙ্গলও আশাবাদী মাঠে আগের থেকে বেশি সংখ্যায় মহিলা ফ্যান আসবেন।
[আরও পড়ুন:আই লিগে নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছেই না, মোহন-ইস্টের পর এবার সমস্যা তৈরি করল আইজল]
ছাত্র-ছাত্রী , বিশেষভাবে সক্ষম মানুষের জন্য যেমন ফ্রি টিকিটে ব্যবস্থা করা হবে,তেমনি মহিলা দর্শকদের জন্যও থাকবে ফ্রি টিকিট। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেছেন,মাঠে মহিলা দর্শক বেশি সংখ্যায় আসুন সেটা চায় ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গল মাঠে সকালে প্রচুর স্কুলের থেকে ফুটবল প্রশিক্ষণ হয়, ফলে তাদের থেকে স্কুলের বাচ্চাদের পেতে অসুবিধা হবে না। এদিকে এআইএফএফ ক্রীড়াসূচি প্রকাশ করলে তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে এই সব বিষয়ে আলাদা করে কথা বলবে ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ। শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম এমন মানুষদেরও মাঠে আনতে চান তাঁরা।
[আরও পড়ুন:বাগান -ক্রোমা নাটক চরমে , চিঠি -পাল্টা চিঠিতে জমে উঠেছে খেলা]
এদিকে
শুধু
ফ্রি
টিকিটও
নয়,
ভিআইপি
টিকিটেও
থাকছে
বিশেষ
ব্যবস্থা।
ইডেনে
বক্সে-র
টিকিট
কাটলে
তাঁর
সঙ্গে
যেরকম
কমপ্লিমেন্টারি
খাবার
দেওয়া
হয়,
ঠিক
তেমনিই
করা
হবে।
ভিআইপি
টিকিট
কাটলে
দর্শকদের
দেওয়া
হবে
ফুড
প্যাকেট।
ইস্টবেঙ্গলের
মতে
ক্লাবগুলির
শুধু
ফুটবল
নয়,
সামাজিক
দায়বদ্ধতাও
রাখা
উচিত।
এদিকে মোহনবাগান আবার ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে এই বিষয়ে একমত নয়। মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্তের মতে মেয়েদের জন্য ফ্রি টিকিটে তাঁরা বিশ্বাসী নন। তাঁরা লিঙ্গবৈষম্যমূলক বিভাগে বিশ্বাস করেন না। তাঁর সাফকথা মাঠে একা বিশেষ কেউ খেলা দেখতে আসে না। হয় স্বামী -স্ত্রী নয় প্রেমিক-প্রেমিকা একসঙ্গে খেলা দেখতে আসেন। তাহলে মহিলা সঙ্গীটি নিজের ফ্রি টিকিট নিয়ে অন্য গ্যালারিতে চলে যাবেন, আর পুরুষ সঙ্গীটি অন্য গ্যালারিতে বসে খেলা দেখবেন সে আবার হয় নাকি। তাঁদের সাফ বক্তব্য মানুষ একসঙ্গে খেলা দেখতে এসে আনন্দ করতে চায়। তবে দেবাশিস বাবুর মত স্কুলে-র ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ পাসের ব্যবস্থা করা যেতেই পারে। তবে মহিলা ফ্যানদের আলাদা করতে তারা নারাজ।