মোহন -ইস্টে দু'রকমের সমস্যা, কাটিয়ে সুপার কাপে কী হবে সমাধান সূত্র
মরশুমের শেষে বেশ চাপে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান দুই ক্লাবই। দুই হেভিওয়েট ক্লাবের সমস্যা দুরকম।
মরশুম শেষ হতে চললেও সরগরম মোহনবাগান -ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবই। সোমবারই বাগান কর্তাদের পদ থেকে সরে গিয়েছেন দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসু। অন্যদিকে সোমবারই ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সুভাষ ভৌমিককে দায়িত্বে নিয়ে এসেছেন।
মঙ্গলবারই লালহলুদ ক্লাব তাঁবুতে এসে গেলেন সুভাষ ভৌমিক। এদিন তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগে খালিদ জামিলের সঙ্গে প্রায় ঘন্টা খানেক বৈঠক করেন। এরপর তিনি জানিয়ে দেন, খালিদ জামিলের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করে ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। এও বলেছেন সুভাষ জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তিনি এটাও তাই তাঁর কাছে বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
সুভাষ ভৌমিক জানিয়েছেন, ' গত বছর আমাকে ইস্টবেঙ্গল জীবনকৃতি সন্মান প্রদান করেছিল । সেদিন নেতাজি ইন্ডোরে আমার জীবনের একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছিল । এই ক্লাবে কাজ করা আমার কাছে আজও স্বপ্নের মত। আমি এখান থেকেই ফুটবলার জীবন ও কোচিং কেরিয়ার শুরু করেছিলাম । এবারও ডাক পেয়ে আমি সন্মানিত ।'
পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন তিনি ও খালিদ দলের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধান সূত্র বার করবেন। কিন্তু বাইরের লোককে নিজেদের সমস্যা জানাবেন না তাঁরা।
এদিকে ইস্টবেঙ্গলে যখন নতুন টিডি দায়িত্বগ্রহণে ব্যস্ত তখন বাগানে আবার রেজেলিউশন অফ সার্কুলেশন হল। দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসু পদত্যাগের ছ ঘন্টার মধ্যে বৈঠক কার্যকরী সমিতির বৈঠক ডাকা যেত। কিন্তু অঞ্জন মিত্র তা ডাকেননি। বুধবার সকালে তাঁর সঙ্গে দেবাশিস দত্তের সঙ্গে কথা হয়। এদিনের আলোচনায় দুই কর্মকর্তার পদত্যাগ ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অঞ্জন মিত্র জানিয়ে দিয়েছেন এই মুহূর্তে ক্লাবের ৪ কোটি টাকারও বেশি দেনা রয়েছে। এদিন ৩০ জন এক্সিকিউটিভ সদস্যদের মধ্যে ১৪ জন মাত্র এসেছিলেন। বৈঠকে স্থির হয়েছে সুপার কাপের আগেই দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসুদের সঙ্গে কথা বলতে চান তাঁরা। তাঁরা সময় দিলে কার্যকরী সমিতির বৈঠক ডাকা হবে।