ডার্বির চাকা ঘোরাতে চান সুভাষ, ‘পাখির চোখ’ কলকাতা লিগের লক্ষ্যে সংযমী শঙ্কর
মরশুমের প্রথম ডার্বি বলে কথা, উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে বাঙালি ফুটবল প্রেমীরা। বাঙাল-ঘটির মরশুমের প্রথম লড়াই ঘিরে তুঙ্গে টিকিটের চাহিদাও। দুই দলই তৈরি।
মরশুমের প্রথম ডার্বি বলে কথা, উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে বাঙালি ফুটবল প্রেমীরা। বাঙাল-ঘটির মরশুমের প্রথম লড়াই ঘিরে তুঙ্গে টিকিটের চাহিদাও। দুই দলই তৈরি। এখন স্রেফ মাঠে নামার অপেক্ষা। এদিনের ডার্বি শুধু মোহন-ইস্টের যুদ্ধ নয়, এই যুদ্ধ এবার গুরু-শিষ্যেরও। এবার বড় ম্যাচে দ্বৈরথ বিশ্বকাপার অকোস্তা বনাম ডিকার।
বড় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে চমক বিশ্বকাপার অকোস্তা। নেইমারের বিরুদ্ধে খেলা কোস্টারিকার এই বিশ্বকাপারের জন্য এবার ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে থাকছেন ডার্বিতে। তবে মোহনবাগানের আক্রমণভাগ এবার দারুন সচল। ডিকা যেমন গোলের মধ্যে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে দারুন সঙ্গত করছেন হেনরি কিসেকা। ডিকা-কিসেকার জুটি ক্লিক করলে বাজিমাত করতে পারে মোহনবাগান।
তবে মোহবনবাগান কোচ শঙ্করলাল মনে করছেন, বড় ম্যাচত জিততে অনেক বেশি সংযমী থাকতে হবে খেলোয়াড়দের। মনসংযোগ বাড়াতে হবে। অনেক বেশি ভালো খেলতে হবে অন্য ম্যাচগুলোর তুলনায়। তবেই অকোস্তাকে টপকে গোল করতে সক্ষম হবেন ডিকারা। মেহেতাব-মাহাতার উইং দিয়ে দৌড় আটকাতে না পারলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন আক্রমণভাগের ডিকা-কিসেকারা।
তবে আক্রমণভাগ ছাড়া অন্য পজিশনগুলিতে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে থাকবে মোহনবাগানের তুলনায়। বিশেষ করে মাঝমাঠ অনেক বেশি তৈরি ইস্টবেঙ্গলের। ইস্টবেঙ্গলের কাসিম-আমনা জুটি দারুন ফুটবল উপহার দিচ্ছেন মাঝমাঠে। আমনারা মাঝমাঠের দখল নিয়ে নিলে ডিকা-হেনরিদের বল জোগানের লাইন কেটে যাবে। তখন অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল।
শেষ আটবারের ঘরোয়া লিগ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গলের বড় ম্যাচে সাফল্য নেই। শেষ ছয় ডার্বিতে হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। তাই সুভাষ চান ডার্বির চাকা ঘুরিয়ে দিতে। গুরু যখন ডার্বির চাকা ঘোরাতে চাইছেন, তখন ডার্বি জিতে লিগের চাকাই ঘুরিয়ে দিতে চান শিষ্য শঙ্করলাল চক্রবর্তী।
এই ম্যাচে মূলত লড়াই বাগানের আক্রমণের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের। অকোস্তা বনাম ডিকা-হেনরি। ময়দানের পোড় খাওয়া কোচ বনাম ময়দানে হাত পাকানো কোচের লড়াই। গতবার গোল পার্থক্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এবার তাই ডার্বিতে ব্যবধান গড়তে চাইছে দু-পক্ষই। দুই প্রতিপক্ষ কোচই একে অপরকে এগিয়ে রেখে চাপ কাটাতে চাইছেন।