লড়েও জ্বলল না মশাল, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ড্র করে রানার্সের তকমা পেল নেরোকা
দারুণ লড়েও নেরোকা এফসি বিরুদ্ধে ড্র করল ইস্টবেঙ্গল। আই লিগে রানার্স হল নেরোকা।
ঘরের মাঠে দুরন্ত লড়াই লড়ল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দলের জয়ের তিন পয়েন্ট এনে দিয়ে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারল না খালিদ জামিলের ছেলেরা। নেরোকার বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করল তারা। রানার্স হল নেরোকা। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র গোল ডুডুর।
[আরও পড়ুন: ভারত সেরা পাঞ্জাব, বিতর্ক সঙ্গী করে আই লিগ ঘরে তুলল মিনার্ভা ]
১৪ মিনিটে জোবি জাস্টিন সহজ সুযোগ মিস করেন। রফিকের হালকা ভাসানো শট সোজা হাতে যায় নেরোকা গোলরক্ষকের হাতে। আল আমনা ১৮ মিনিটে ফ্রিকিক বুদ্ধিদীপ্তভাবে আল আমনাকে এগিয়ে দেন। কিন্তু আমনা সেই শট গোলে রাখতে ব্যর্থ। ৩৪ মিনিটে কাটসুমির দুরন্ত ভাসানো ফ্রিকিকে -র বল ডুডুর পায়ে এলেও গোল করতে ব্যর্থ ডুডু।
৩৭ মিনিটে আল আমনা গোলমুখী শট ফের ঝাঁপিয়ে আটকে দেন গোকুলাম গোলরক্ষক। একের পর এক গোলের সুযোগ মিসের খেসারত দেয় ইস্টবেঙ্গল। ৪২ মিনিটে নেরোকা কাউন্টার আক্রমণে উঠে গোল করে যান। গোল করেন চিডি। ১৫টি গোলমুখীর শটের ৬ টি অন টার্গেট আর ২ টি শট অন টার্গেট যার একটি গোল। ম্যাচের বলের দখল ছিল প্রায় ৬০ শতাংশ।
[আরও পডুন: বাগানের পাল উড়ল না , অ্যাওয়ে ম্যাচে অপরাজিত থেকেও আই লিগ অধরা ]
দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের জোরালো আক্রমণের ধারা বজায় রাখে। গোটা ম্যাচে লালহলুদ ফুটবলারদের দাপুটে পারফরম্যান্স চোখে পড়ে। ৭৩ মিনিটে ক্লাবকে সমতায় ফেরান ডুডু। চুলোভার ক্রস দুরন্ত হেডে গোলে রাখেন ইস্টবেঙ্গলের ডুডু। মাঝ মরশুমে এসে জার্সির প্রতি যেভাবে দায়বদ্ধতা দেখালেন তাকে কুর্নিশ। হয়ত এরপরেও সমর্থকদের স্ক্যানারের তলায় তাঁকেও কাটাছেঁড়া করা হবে । তবে বাকি বিদেশিদের থেকে তিনি যে আলাদা তা বুঝিয়ে দিলেন তিনি।
এদিনের ম্যাচ শেষ হল ১-১ গোলে। ফলে রানার্স হয়ে গেল নেরোকা এফ সি। এই প্রথম মণিপুর থেকে আসা কোনও দল এত ভালো পারফরম্যান্স করল সর্বভারতীয় স্তরের এই প্রতিযোগিতায়। মিনার্ভা পাঞ্জাবের মতো প্রথম বার আইলিগ খেলতে এসে তারা হল রানার্স।
এদিকে এদিনের ম্যাচে ১-১ ড্র করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করল লালহলুদ। কিন্তু মুখোমুখি লড়াইতে বাগানের কাছে দুবারই হারায় তারা রইল লিগ টেবলের চার নম্বরে।