ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর ইস্টবেঙ্গলের, ফের একবার দেশের সেরা ক্লাব হওয়ার লক্ষ্যে লাল-হলুদ
কুয়েসের সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি সেরে গাঁটছড়া বাঁধল লাল-হলুদ।
ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে নবজাগরণ ঘটাল ইস্টবেঙ্গল। পড়শি ক্লাব মোহনবাগানে যখন রোজ লেগে রয়েছে একাধিক নাটক এবং ক্ষমতার দড়ি টানাটানি খেলা, তখন নিঃশব্দে ক্লাবের স্বার্থে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করল লাল-হলুদ।
বেঙ্গালুরুর কোম্পানি কুয়েসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল ইস্টবেঙ্গল। শুধু ভারতেই নয়, বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে এদের ব্যবসা। ইউবি গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি পড়ার পর থেকেই নতুন স্পনসরের জন্য ঝাঁপাতে শুরু করেন লাল-হলুদের শীর্ষকর্তারা। বেশ কিছু কো-স্পনশর পাওয়া গেলেও মূল স্পনসর পাচ্ছিল না লাল-হলুদ। অবশেষে কুয়েসের সঙ্গে আলোচণা ইতিবাচক হওয়ার পরই তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সফল এই দল।
আজ শহরের এক অভিজাত হোটেলে এই ঐতিহাসিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে এদিন উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ফুটবলের প্রথমসারির ফুটবল প্রাশাষকরা। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত এবং সচিব কুশল দাস উপস্থিতি ছিলেন এদিন। উপস্থিত ছিলেন আইএফএ-এর সভাপতি উৎপল গাঙ্গোপাধ্যায়।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের টিডির দায়িত্বে থাকা আশিয়ান জয়ী কোচ সুভাষ ভৌমিক এবং ইস্টবেঙ্গল দলের ফুটবলাররা।
কুয়েসের সঙ্গে নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ইস্টবেঙ্গলের নতুন যে বোর্ড অফ ডিরেক্টরস তৈরি হবে তার সদ্য সংখ্যা থাকবে আটটি। যার মধ্যে ক্লাবের পক্ষ থেকে থাকবেন চার জন এবং কুয়েসের পক্ষ থেকে থাকবেন চার জন।
অন্য দিকে, শেয়ারের মধ্যে ৭০ শতাংশ শেয়ার যাবে কুয়েশের দখলে এবং ক্লাবের কাছে থাকবে ৩০ শতাংশ শেয়ার। তবে, লাল-হলুদ কর্তারা এদিন স্পষ্ট করে দেন যে শেয়ারের বেশির ভাগ কুয়েশের কাছে গেলেও ফুটবল সংক্রান্ত বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে ক্লাব কর্তৃপক্ষই।
যদিও ইস্টবেঙ্গল এবং কুয়েশের মধ্যে কত বছরের চু্ক্তি সমপন্ন হয়েছে এবং কত টাকার বিনিময়ে কুয়েশের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল লাল-হলুদ তা এখনও পরিস্কার করা হয়নি ক্লাবের পক্ষ থেকে।
চুক্তি সমপন্ন হওয়ার পর লাল-হলুদের সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত বলেন, 'দীর্ঘ সময় ওদের সঙ্গে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। কখনওই চাই না ওদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হোক।' এই চুক্তির ফলে লাল-হলুদের নতুন নাম হল কুয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি।
ক্লাবের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কল্যাণ মজুমদার বলেন, 'ইউবির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর আমরা ভাল স্পনসরের খোঁজ করছিলাম, সেই সময়েই আমরা কুয়েসের কাছে প্রস্তাব রাখি। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে কুয়েস যুক্ত হওয়ায় আমরা খুশি। আশা করি, একসঙ্গে আমরা দেশের সেরা ফুটবল ক্লাব তৈরি করতে পারব।'