দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান, ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড
রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে সুইডেনকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল ইংল্যান্ড।
স্বপ্নের দৌড় অব্যহত ইংল্যান্ডের। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে সুইডেনকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে নিল ইংল্যান্ড।
দীর্ঘ
দিনের
প্রতিক্ষার
অবসান
ঘটল
ইংল্যান্ডের
সমর্থকদের।
এদিন
ম্যাচের
শুরু
থেকেই
আক্রমণাত্মক
মেজাজে
পাওয়া
যায়
ইংল্যান্ডের
ফুটবলারদের।
শুরুর
দশ
মিনিট
প্রতিপক্ষকে
বুঝে
নেওয়ার
পর
থেকেই
নিজেদের
ছন্দে
ম্যাচের
নিয়ন্ত্রণ
হাতে
তুলে
নেওয়ার
চেষ্টা
করে
ইংল্যান্ড।
মাঝমাঠের
নিয়ন্ত্রণ
নিজেদের
হাতে
তুলে
নিতে
নিতে
বেশি
সময়
লাগেনি
ইংল্যান্ডের।
ম্যাচ
শুরুর
২০
মিনিটের
মধ্যেই
ম্যাচে
জাঁকিয়ে
বসে
ইংল্যান্ড।
তুলে
আনতে
থাকে
একের
পর
এক
আক্রমণ।
আর
এই
আক্রমণাত্ম
ফুটবলের
নমুনা
ম্যাচের
শেষ
মিনিট
পর্যন্ত
বজায়
রাখল
ইংল্যান্ড।
এদিন ম্যাচের অধিকাংশ সময়েই লড়াইটা চলছিল ইংল্যান্ডের আক্রমণের সঙ্গে সুইডেনের ডিফেন্সের। আর এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত এঁটে উঠতে পারল না সুইডেনে খেলোয়াড়েরা।
ম্যাচের তিরিশ মিনিটে সুইডেনের রক্ষণদূর্গকে প্রথমবারের জন্য নাড়িয়ে দেন তরুণ ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়ার। অ্যাশলে ইয়ংয়ের কর্নার দুরন্ত স্পট জাম্পের সৌজন্যে জালে জড়িয়ে দেন লেস্টার সিটির এই ডিফেন্ডার। ইংল্যান্ডের জার্সিতে এটাই তাঁর প্রথম গোল। ডিফেন্ডার হলেও নিখুঁত প্লেসিং ছিল ম্যাগুয়ারের।
প্রথমার্ধে এর পর একাধিক আক্রমণ তুলে আনলেও গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধ শেষে ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলার ফল ছিল ১-০।
দ্বিতীয়ার্ধে আশা করা হয়েছিল গোল শোধ করে ম্যাচে ফিরে আসার মরিয়া লড়াই চালাবে সুইডেনের ফুটবলাররা। কিন্তু বাস্তবে ঘটল তার সম্পূর্ণ উল্টো।
দ্বিতীয় গোলটি তুলে নেওয়ার জন্য সুইডেনের ডিফেন্সের উপর আরও চাপ বাড়াতে থাকে ইংল্যান্ড। এই পরিস্থিতিতে দু'বার সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন রহিম স্টারলিং। তবে, দ্বিতীয় গোল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ইংল্যান্ডকে। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ডেলে আলি। পাশাপাশি এই ম্যাচে দ্বিতীয়বারের জন্য পরাস্থ হন সুইডেনের গোলরক্ষক রবিন ওলসেন, যিনি এর আগে তিনটি ম্যাচে ক্লিন শিট রেখেছিলেন।
ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ চলে এসেছিল সুইডেনের কাছেও। কিন্তু দুরন্ত বিট্রিশ গোলরক্ষক জর্জান পিকফোর্ডের অসাধারণ গোল কিপিংয়ের কাছে পরাস্থ হতে হয় সুইডেনের আক্রমণভাগের ফুটবলারদের। এই ম্যাচে নিশ্চিত তিনটি গোল বাঁচান পিকফোর্ড। একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে এই ম্যাচে নিজের জাত চেনান এভারর্টনের এই গোলরক্ষক। আজ যদি পিকফোর্ডের দু'টি হাত প্রাচীরের সমান হয়ে না উঠত, তাহলে এত সহজেই এই ম্যাচে জয় পাওয়া সম্ভব হত না ইংল্যান্ডের। এদিন ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন পিকফোর্ড।