‘চ্যাম্পিয়ন’ ক্রোয়েশিয়াকে জাঁকজমক ভাবে স্বাগত জানলেন ক্রোটরা
বিশ্বকাপ থেকে রানার্স হয়ে দেশে ফরিলেও চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই সম্মোধন করা দল ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় দলকে। বাজি-পটকা ফাটিয়ে স্বাগত জানান হয় ইভান রাকিটিচ-লুকা মদ্রিচদের।
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৮-এর মেগা ফাইনালে হারতে হয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে। ৪-২ ব্যবধানে লুকা মদ্রিচের দলকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য খেতাব জিতে নিয়েছে ফ্রান্স।
রানার্স হয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলেও লুকা মদ্রিচের নেতৃত্বে ক্রোয়েশিয়া গোটা বিশ্বকাপে যে ফুটবলটা খেলেছে তা মন জয় করে নিয়েছে গোটা বিশ্বের। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও ইভান পেরিসিচ, ইভান রাকিটিচরা এখন জাতীয় নায়ক। দেশের প্রতিটি মানুষের মুখে এখন শুধু তাঁদেরই নাম।
আর সেই নায়কদেরই বরণ করে নিতে সেজে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। ক্রোট বাহিনীকে শুভেচ্ছা জানাতে এবং বরণ করে নিতে জাগ্রেবে ভীড় জমান হাজার হাজার সমর্থক। বাজি-পটকা ফাটিয়ে বরণ করা হয় তাঁদের। রানার্স হয়ে ফিরলেও বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে মদ্রিচের দলকে সমর্থকরা সম্মোধন করতে থাকেন চ্যাম্পিয়ন! চ্যাম্পিয়ন! ধ্বনি দিয়ে।
ছাদ খোলা বাসে করে নিয়ে আসা হয় লুকা মদ্রিচদের। বিশ্বকাপে দ্বিতীয়স্থান অর্জন করে পাওয়া সিলভার মেডেল ছিল প্রতিটি ফুটবলারের গলার আর সেই বাসকে ঘিরে ছিল অসংখ্য ভক্ত। সমর্থকদের অধিকাংশই এদিন পরেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার বিখ্যাত লাল-সাদা জার্সি। আতোঁশ বাজির রোশনাই আর জনজোয়াড়ে সে যেন বদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার উন্মাদন। মুক্তিই তো বটে! যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটা দেশর বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমবারের জন্য অংশ নেওয়াটা কোনও ভাবেই কম কিছু নয়।
ক্রোয়েশিয়ার হিরো জোসিপ জেলাসিচকের মূর্তির গায়েও লাগিয়ে দেওয়া হয় ক্রোয়েশিয়ার পতাকা। শুধু রাস্তাঘাটেই নয়, বাড়িতে বাড়িতে, রেলিংয়ে দাঁড়িয়ে, জানলায় দাঁড়িয়ে, ছাড়ের উপরে উঠে সকলে এই শোভা যাত্রার সাক্ষী থাকে।
প্রায় আড়াই লক্ষ ক্রোট সমর্থক এদিন স্বাগত জানান ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় দলকে। সমর্থকদের ভালবাসার উচ্ছ্বসিত লুকা মদ্রিচ বলেন, 'ধন্যবাদ ক্রোয়েশিয়া! ধন্যবাদ জাগ্রেব।' লুকার মতোই সমর্থকদের ভালবাসায় ভাষা হারিয়ে ফেলা ইভান রাকিটিচ বলেন, 'এই অনুভূতি মুখে প্রকাশ করা যায় না।!'
ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলারদের পাশাপাশি সেই দেশের প্রেসিডেন্ডের আচরণ এবং ফুটবলের প্রতি তাঁর ভালবাসা গোটা বিশ্বের মানুষের পাশাপাশি মন জয় করে নিয়েছে দেশবাসীরও।