স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার ১২০ বছর, দেখে নিন নৌ-ক্যাম্পে সেরা পাঁচ মুহূর্ত
কাতালান ক্লাব বার্সেলোনা। যে ক্লাব আজ দাঁড়িয়ে ১২০তম বর্ষে।
ফুটবল সমর্থকদের কাছে নভেম্বর মানেই স্পেশাল কানেকশন। এই নভেম্বর মাসেই জন্ম নিয়েছিল কাতালান ক্লাব বার্সেলোনা। যে ক্লাব আজ দাঁড়িয়ে ১২০তম বর্ষে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নৌ-ক্যাম্পে সেরা পাঁচ ফুটবল ম্যাচের মুহূর্ত।
বৃশ্চিক রাশির বৈশিষ্ট্য
এই রাশির জাতক জাতিকারা অত্যন্ত দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন। এঁরা একবার যা মনে করেন, তাই করে থাকেন। তবে সুযোগ বুঝে অন্যকে চমকে দিতে এঁরা ছাড়েন না। জীবনের সমস্ত রকমের পরিস্থিতিতে এঁরা খুবই স্থিতধী হয়ে থাকেন। এঁদের ধৈর্য ঈর্ষণীয়।
বার্সেলোনা ক্লাবের জন্ম
বার্সেলোনা ক্লাবের জন্ম ১৮৯৯ সালের ২৯ নভেম্বর। ফুটবল সমর্থক জোহান গাম্পার সুইস, ইংলিশ, স্প্যানিশ ও কাতালান ফুটবলারদের নিয়ে একটি দল তৈরি করেছিলেন। এর আগে ১৮৯৯ সালের ২২ অক্টোবর বার্সেলোনার স্থানীয় ক্রীড়া পত্রিকা 'লস ডেপোরটেস' এ ফুটবল ক্লাব গঠনের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল। ক্রীড়াপ্রমী সুইস অ্যাথলেটিক এবং ব্যবসায়ী জোয়ান গাম্পার এই বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। ক্লাব গঠনের উদ্দেশ্যে তার প্রচারিত বিজ্ঞাপনে যথেষ্ট সাড়াও মেলে। এর ফলস্বরূপ ১৮৯৯ সালের ২৯ নভেম্বর বার্সেলোনা ক্লাবের জন্ম হয়।যে ক্লাবের অন্য়তম মোটো ছিল 'মোর দ্যান এ ক্লাব।' স্প্যানিশ ফুটবলের ইতিহাসে পরবর্তী সময় এই ক্লাবই বড় জায়গা করে নেয়।
কর্ম
সাধারণত বৃশ্চিক রাশির জাতিকা বা জাতকরা কর্মের ক্ষেত্রে গবেষণামূলক কাজকেই বেছে নেন। গান, কলাবিভাগ, লেখালেখির প্রতি এঁদের আসক্তি চরমে ওঠে। লেখক হিসাবে এঁরা অত্যন্ত সুনাম পান।
প্রথমবার বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন
১৮৯৯ সালে ক্লাবের পথ চলা শুরু। ক্লাবের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকায় বড় স্টেডিয়ামের প্রয়োজন পরে। সেই থেকেই নতুন মাঠ নির্মাণের ভাবনা তৈরি হয়। এরপর ১৯৫৭ সালে নৌ-ক্যাম্প মাঠে বার্সার খেলা শুরু হয়। ১৯৮২ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করে নৌ ক্যাম্প।
১৯৮২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে নৌ-ক্যাম্পে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছিল। এই মাঠে সেমিফাইনাল মিলিয়ে মোট পাঁচটি ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রেম
যেহেতু এঁরা খুবই বুদ্ধিমান হন, তাই এঁরা সহজেই সুখে থাকেন। প্রেমকে যৌনতায় সবসময়ে মুড়ে রাখতে এঁরা দারুন ভালোবাসেন। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে
নৌ-ক্যাম্পের অন্যতম নাটকীয় ম্যাচ
১৯৯৯ সালে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম নাটকীয় ম্যাচটি বার্সেলোনার মাঠ নৌ-ক্যাম্পে আয়োজিত হয়েছিল। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বনাম বায়ার্ন মিউনিখ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ৯১ মিনিট পর্যন্ত ০-১ পিছিয়ে ছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। এরপর শেষ মিনিটে ম্যাঞ্চেস্টারের হয়ে টেডি সেরিংহ্যাম ও ওলে গার্নার গোল করে দলকে ট্রফি জিতিয়েছিলেন।
নৌ-ক্যাম্পে রিভাল্ডোর হ্যাটট্রিক
নৌ-ক্যাম্পে বার্সার জার্সিতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের মরণ-বাঁচন ম্যাচে ২০০১-০২ ফুটবল সিজনে ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে গোল করে দলের ত্রাতা হয়ে উঠেছিলেন। ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন রিভাল্ডো। বার্সা ম্যাচ জিতেছিল ৩-২ ব্যবধানে।
রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে বার্সার ৫-০ জয়
২০১০ সালে নৌ-ক্যাম্পে মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে ৫ গোল দিয়েছিল বার্সা।
নৌ-ক্যাম্পে বার্সার ঐতিহাসিক ম্যাচ
২০১৭ সালে নৌ-ক্যাম্পের মাঠে বার্সা-পিএসজির থ্রিলার ম্যাচ হয়েছিল। প্রথম লেগের ম্যাচে বার্সা পিএসজির বিরুদ্ধে ০-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল। এরপর ঘরের মাঠে ৬-১ ব্যবধানে জেতে। দুই লেগ মিলিয়ে বার্সা শেষ পর্যন্ত ৬-৫ ব্য়বধানে ম্যাচ জিততে পেরেছিল। ৮৮ ও ৯১ মিনিটে জোডা় গোল করে ম্যাচের রঙ পাল্টে দিয়েছিলেন নেইমার।
ক্লাবের ১২০ বছরের ইতিহাসে ট্রফি জয়ের রেকর্ড
১২০ বছরের ইতিহাসে বার্সেলোনা ২৬ বার লা-লিগা জিতেছে। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি জিতেছে ৫ বার।