দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে নতুন উপায় ফিফার, জারি করল বিবৃতি
এর আগেও অসংখ্যবার বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেতে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে ফিফা-র বিরুদ্ধে। এবারও উঠল। কী উত্তর দিল ফিফা।
ফের প্রকাশ্যে ফিফার কেলেঙ্কারি। কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনে আর্থিক লেনদেনের খবর সংবাদপত্রে প্রকাশ হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসল ফিফা। ফিফার সরকারি ওয়েবসাইটে রিপোর্টটিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। পাশাপাশি গোটা রিপোর্ট পেশ করা হবে বলেও দাবি করেছে ফিফা।
২০১২ সালে কাতার ও রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। এরপরই নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি গার্সিয়াকে বিষয়টি তদন্ত করার দায়িত্বভার দেয় ফিফা। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে নিজের রিপোর্ট গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে জমা দেন গার্সিয়া। এর দু'মাস বাদে ফিফা একটি বিবৃতি জারি করে সমস্ত অভিযোগ থেকে কাতার ও রাশিয়া বিশ্বকাপকে মুক্ত করে।
সেসময়ই গার্সিয়া অত্যন্ত রেগে গিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন ফিফার প্রকাশিত বিবৃতি অসম্পূর্ণ ও ভুলে ভরা। এতদিন বাদে ফের কাতার বিশ্বকাপে আর্থিক লেনদেনের পর নড়েচড়ে বসেছে ফিফা। দুর্নীতির অভিযোগে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার এবং উয়েফা প্রধান মিশেল প্লাতিনিকেও। এই মুহূর্তে ফিফা-র প্রেসিডেন্ট জিয়ানলুগি ইনফানন্তিনো। যিনি বিশ্বের সামনে ফের একবার ফিফার স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি তুলে ধরতে ব্যস্ত। সেসময়ই আবার এই অভিযোগ নড়িয়ে দিয়েছে ফুটবল বিশ্বকে। নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে বর্তমান প্রশাসন।
ফিফার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তদানীন্তন নীতি নির্ধারণ কমিটি-র চেয়ারপার্সন কর্নেল বরবেলি এবং হান্স জোয়াকিম এখার্ট এই রিপোর্ট প্রকাশ করতে দেননি। পাশাপাশি এখার্টের কোর্টে বল পাঠিয়ে ফিফার আরও দাবি, সেসময় এখার্টই বিবৃতি দিয়েছিলেন যে কাতার বিশ্বকাপের বিডিং পদ্ধতিতে কোনও অনৈতিকতার আশ্রয় নেওয়া হয়নি।
এই বছর মে মাসে বরবেলি ও এখার্টকে সরিয়ে নতুন দায়িত্বে নির্বাচিত হয়েছেন মারিয়া ক্লদিও রোজা ও ভ্যাসিলিওস স্কৌরিস। তাঁরা এখন চাইছেন ২০১৪ সালে জমা পড়া সেই রিপোর্ট প্রকাশ করতে। সামনের সপ্তাহেই ফিফা-র নীতি নির্ধারণ কমিটি একটি বৈঠকে বসবে। সেখানেই এই রিপোর্ট প্রকাশ নিয়ে সবরকম আলোচনা হবে। এদিকে জার্মান সংবাদপত্র অবৈধভাবে এই রিপোর্টের তথ্য যোগাড় করে বলেও অভিযোগ তুলেছে ফিফা।