শেষ ১৬-র কিঞ্চিত আশা নিয়ে পেরুর বিরুদ্ধে অলআউটে নামছে অস্ট্রেলিয়া
গ্রুপ সি-র লড়াইয়ে পেরুর বিরুদ্ধে নামছে অস্ট্রেলিয়া।
গ্রুপ সি-র লড়াইয়ে পেরুর বিরুদ্ধে নামছে অস্ট্রেলিয়া। পেরু ২টি ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার খুব সামান্য আশা রয়েছে পরের পর্বে যাওয়ার। তবে তার জন্য পেরুর বিরুদ্ধে জিততে হবে। এদিকে পেরুও শেষ ম্যাচে বিদায় নেওয়ার আগে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবে।
এদিন অস্ট্রেলিয়াকে শুধু জিতলেই হবে না। ফ্রান্সকে অন্তত দুই গোলে ডেনমার্ককে হারাতে হবে। তাহলে অস্ট্রেলিয়ার শেষ পর্বে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
অস্ট্রেলিয়ার কোচ বার্ট ভান মারউইক স্পষ্ট জানিয়েছেন, অন্য দল কি করছে তার দিকে না তাকিয়ে তাঁরা জেতার লক্ষ্যে মাঠে নামবেন। সুনাম অনুযায়ী প্রথম দুটো ম্যাচে দল খেলতে না পারলেও এই ম্যাচে সকারুরা নিজেদের উজাড় করে দেবে।
পেরু ৩৬ বছর পরে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। সেজন্য সেদেশের সমর্থকেরা দলে দলে রাশিয়ায় এসে স্টেডিয়াম ভরিয়েছেন। ২টি ম্যাচে পেরু আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে গোলে ২৭টি শট নিলেও এখনও কোনও গোল করতে পারেনি।
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে অধিনায়ক পাওলো গেরেরো জানিয়ে দেন, পেরু বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতে ফিরবে না। ফলে বোঝাই যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচকেই ঘুরে সম্মানরক্ষার ম্যাচ হিসাবে দেখছে পেরু।
পেরুর জন্য খারাপ খবর, ডেনমার্ক ম্যাচে অ্যান্ড্রু নাবৌট কাঁধের হাড় ভেঙে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। পেরুর ফরওয়ার্ড জেফারসন ফরফান হাসপাতালে থাকায় এদিনও খেলতে পারবেন না। তাঁর মাথায় চোট রয়েছে।
এই প্রথম অস্ট্রেলিয়া ও পেরু মুখোমুখি হচ্ছে। পেরু এই প্রথম কোনও ওশিয়ানিয়া দলের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে খেলছে। কোয়ালিফায়িং রাউন্ডে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেলে তাঁরা ২-০ জিতেছে।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে শেষ ১৫টি ম্যাচের সবকটিতে গোল খেয়েছে। শেষ ১২টি ম্যাচে অন্তত একটি করে গোল খেয়েছে। অস্ট্রেলিয়া শেষ তিনটি বিশ্বকাপ গোল করেছে পেনাল্টিতে। স্পট কিকে পরপর গোল করে আর কোনও দল রেকর্ড গড়তে পারেনি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এবার মিলে জেডিনাক ২টি গোল করেছেন পেনাল্টিতে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল এই ২টি করেই হয়েছে। ২০০৬ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে টিম কাহিল ২টি করে, ২০১০ সালে ব্রেট হোলম্যান ২টি গোল করেছিলেন।