ডু-অর-ডাই ম্যাচে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে নামছে ব্রাজিল, নেইমাররা কি পারবেন সাম্বা ম্যাজিক দেখাতে
গ্রুপ ই-র শীর্ষে থেকে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামলেও এই ম্যাচ ব্রাজিলের কাছে ডু অর ডাই ম্যাচ।
গ্রুপ ই-র শীর্ষে থেকে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামলেও এই ম্যাচ ব্রাজিলের কাছে ডু অর ডাই ম্যাচ। ২টি ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট পেয়েছে ব্রাজিল। ১টি জয় ও ১টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। অন্যদিকে সার্বিয়া ২টি খেলে ১টিতে জয় পেয়েছে, অন্যটি হেরেছে।
এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে কোস্টারিকা। কোস্টারিকা বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। এদিকে সুইসরা ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডের লক্ষ্যে পা বাড়িয়ে রেখেছে। এই অবস্থায় ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড ও সার্বিয়ার মধ্যে যেকোনও দুটি দলই যেতে পারে পরের রাউন্ডে।
সার্বিয়ার আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ মনে করছেন, ব্রাজিলকে হারানোর ক্ষমতা তাঁরা রাখেন। এবং সেইসঙ্গে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে টপকে পরের রাউন্ডে যাওয়ার ক্ষমতাও তাদের রয়েছে।
সার্বিয়া মনে করছে, ব্রাজিলের উপরে বেশি চাপ রয়েছে। কারণ তাঁরা ফেভারিট। আর সার্বিয়া খোলা মনে খেলবে। কারণ তাঁরা পরের রাউন্ডে যাবে বলে কেউ মনে করছে না। তার উপরে ক্রোয়েশিয়া ও আর্জেন্তিনা ম্যাচের উদাহরণ সামনে রয়েছে যেখানে ৩-০ গোলে ক্রোয়েশিয়া মেসিদের হারিয়েছে।
ব্রাজিল এই বিশ্বকাপে এখনও অপরাজিত থাকলেও প্রথম ম্যাচে সুইসদের সঙ্গে ড্র করেছে ও দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে শেষ লগ্নে গোল করে জয় পেয়েছে। তাই দারুণ ছন্দে রয়েছে সাম্বা বাহিনী তা বলা যাবে না।
সার্বিয়ার পরের রাউন্ডে যেতে হলে ব্রাজিলের সঙ্গে নিদেনপক্ষে ড্র করতে হবে। এবং ওদিকে সুইজারল্যান্ডকে ২ বা তার বেশি গোলে হারতে হবে কোস্টারিকার কাছে।
ব্রাজিল প্রথম একাদশে থাইয়ের চোটের কারণে থাকছেন না দানিলো। অন্যদিকে ডগলাস কোস্তা হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে বাদ থাকছেন। সার্বিয়া দলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, দলের ৬জন হলুদ কার্ড দেখে বসে রয়েছেন। আবার কার্ড দেখলে এই ম্যাচে জিতলেও শেষ ১৬-য় দল নামানো নিয়ে সমস্যা হবে।
যুগোস্লোভিয়াকে ধরলে ব্রাজিল ও সার্বিয়া চারবার বিশ্বকাপে খেলেছে। ১টি করে ম্যাচ দুই দল জিতেছে ও ২টি ড্র হয়েছে। ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপে যুগোস্লাভিয়া ২-১ গোলে ব্রাজিলকে হারায়। তবে বিশ্বকাপ ছাড়া সবমিলিয়ে ১৯ বার দুই দল মুখোমুখি হয়ে মাত্র ২ বার ব্রাজিলকে হারাতে পেরেছে। ড্র ৭টি ও হার ১০টি ম্যাচে।
সার্বিয়ার আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। এদিকে ব্রাজিলের নেইমার, কুটিনহোরা রয়েছেন। ধারে-ভারে এগিয়ে ব্রাজিলই। এখন দেখার সার্বিয়া কতটা লড়াই দিতে পারে।