অঘটন ঘটতে গিয়েও শেষ অবধি রক্ষা! ২-১ ব্যবধানে তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় ইংল্যান্ডের
ম্যাচের পুরো নব্বই মিনিট অসাধারণ খেলে শেষ অবধি ৯১ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনের হেডে ইতিহাস ছুঁয়ে দেখা থেকে একহাত দূরে থেমে গেল তিউনিশিয়া।
বিশ্বকাপে আরও একটি অঘটন ঘটতে গিয়েও ঘটল না। ম্যাচের পুরো নব্বই মিনিট অসাধারণ খেলে শেষ অবধি ৯১ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনের হেডে ইতিহাস ছুঁয়ে দেখা থেকে একহাত দূরে থেমে গেল তিউনিশিয়া। শেষ অবধি ২-১ গোলে ইংল্যান্ডের কাছে হারতে হল খাজরি, বেন ইউসেফদের।
এদিন প্রথমার্ধের দশ মিনিট পরই গোল করে ইংল্যান্ডকে গোল করে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন। তবে খেলা থেকে হারিয়ে যায়নি তিউনিশিয়া। ছোট দল হয়েও ইংল্যান্ডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই চলতে থাকে। এভাবেই ৩২ মিনিটের মাথায় বক্সে পেনাল্টি পেয়ে যায় তিউনিশিয়া।
ইংল্যান্ডের ডিফেন্সের খেলোয়াড় হাতে বল লাগিয়ে ফেলেন। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেনন সাসি। কোনও আফ্রিকার দেশের হয়ে এই বিশ্বকাপে প্রথম গোল করলেন এই মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধে টানটান উত্তেজনার মধ্যে খেলা শেষ হয়। বল পজেশন থেকে শট, সব জায়গায় ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও তিউনিশিয়া সমতা ফিরিয়ে টগবগ করে ফুটছিল। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই তেড়ে আক্রমণ করে ইংল্যান্ড।
মুহূর্মুহূ আক্রমণ উঠে আসতে থাকে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। দ্বিতীয়ার্ধে খেলা যত শেষের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, ততই ইংল্যান্ড শত চেষ্টা করেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি। অন্যদিকে তিউনিশিয়ার প্রায় পুরো দল ডিফেন্সের কাছাকাছি নেমে এসেছিল। নব্বই মিনিটের কাছাকাছি সময়ে মনে হচ্ছিল, অঘটনের আর একটি ম্যাচ বোধহয় খেলা হয়ে গেল বিশ্বকাপে।
তবে ৯১ মিনিটে কর্ণার থেকে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে ইংল্যান্ডকে কাঙ্খিত গোল ও ২-১ ব্যবধানে জয় এনে দিলেন অধিনায়ক হ্যারি কেন। ম্যাচে দুটি গোলই তিনিই করে দলকে উদ্ধার করলেন বিপদের হাত থেকে। এদিন জিতে গ্রুপ জি-তে দ্বিতীয় স্থানে রইল ইংল্যান্ড। বেলজিয়াম ৩-০ গোলে জেতায় প্রথম স্থান দখল করেছে।