হোঁচটের আবহের মধ্যে বিশ্বকাপে তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে নামছে ইংল্যান্ড
আর্জেন্তিনা, জার্মানির মতো বড় দল আটকে গিয়েছে ছোট দলের কাছে। ফলে এবারের বিশ্বকাপে বড় দলগুলি শুরু থেকেই হোঁচট খেতে শুরু করেছে। সেই আশঙ্কার মধ্যেই এদিন নামছে তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে নামছে ইংল্যান্ড।
আর্জেন্তিনা, জার্মানির মতো বড় দল আটকে গিয়েছে ছোট দলের কাছে। ফলে এবারের বিশ্বকাপে বড় দলগুলি শুরু থেকেই হোঁচট খেতে শুরু করেছে। সেই আশঙ্কার মধ্যেই এদিন নামছে তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে নামছে ইংল্যান্ড। গ্রুপ জি-র লড়াইয়ে ভোলগোগ্রাদে নামছে ব্রিটিশরা।
২০০৬ সালের পর এই প্রথমবার বিশ্বকাপের মঞ্চে নামছে তিউনিশিয়া। এই গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে ওঠার আশঙ্কা অনেক কম। সেটা তিউনিশিয়ার খেলোয়াড়রা জানেন। ইংল্যান্ড ছাড়াও এই গ্রুপে বেলজিয়াম রয়েছে।
এর আগে চারবার বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেললেও কোনওবারই গ্রুপ স্টেজের বাধা তিউনিশিয়া টপকাতে পারেনি। এবারও একই পরিস্থিতি হতে পারে। তবে এবার শুরু থেকেই ছোট দলগুলি বড় দলকে হারিয়ে বা আটকে দিচ্ছে। তাই তিউনিশিয়া আশাবাদী হতেই পারে।
ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম এই গ্রুপ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থেকে পরের রাউন্ডে যাবে বলে সকলে ধরে নিয়েছেন। ফলে পানামা ও তিউনিশিয়ার মধ্যে লড়াই হবে তৃতীয় স্থানের লক্ষ্যে।
এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে একটিমাত্র ম্যাচ জিতেছে তিউনিশিয়া। তার উপরে দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় ইউসেফ মসাকনি হাঁচুর চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। তবে কিছু হারানোর নেই, এই মনোভাব নিয়েই তাঁরা খেলতে নামবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
আর সেটাকেই ভয় ইংল্যান্ডের। তার উপরে গতবছরে গ্রুপ স্টেজ থেকে ছিটকে যাওয়ার স্মৃতি এখনও তাজা রয়েছে। তবে এই ম্যাচে ইংল্যান্ড ফেভারিট। গ্যারেথ সাউথগেটের দল সেটা ভালোই জানে। ইংল্যান্ডের আগে বেলজিয়াম পানামার বিরুদ্ধে নামছে। বেলজিয়াম জিতে গেলে সেটা আরও চাপ তৈরি করবে ব্রিটিশ দলের উপরে।
শেষ চার বিশ্বকাপের মধ্যে ২০০২-২০০৬ সালে ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। তবে ২০১০ সালে শেষ ১৬ থেকে ও ২০১৪ সালে গ্রুপ স্টেজ থেকে বিদায় নেয়। তবে পরের রাউন্ডে এবছর ওঠা অতটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
তিউনিশিয়া দলে সম্ভাব্য একাদশে মাথলৌথি, ব্রোন, স্টোনস, সাসি, বদ্রি, ফকরডিন, বেন ইউসেফরা থাকছেন। এদিকে ইংল্যান্ড দলে পিকফোর্ড, ওয়াকার, হেন্ডারসন, নিলগার্ড, ইয়ং, কেনরা থাকছেন।
এর আগে ১৯৯০ সালে একটি ম্যাচে দুই দল ১-১ ড্র করেছে। ১৯৯৮ সালে শেষ দেখায় ইংল্যান্ড ২-০ গোলে জিতেছে। এদিনও ইংল্যান্ডের জেতার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। না জিতলে সেটাই হবে অঘটন।