৪০ বছরের ক্ষরা কাটিয়ে বিশ্বকাপে জয়ের স্বাদ পেল টিউনিশিয়া, ইতিহাস গড়তে ব্যর্থ পানামা
একটা দলের সামনে ৪০ বছর পর বিশ্বকাপে ম্যাচ জয়ের হাতানি। আর অন্য দলটির সামনে অভিষেক বিশ্বকাপে জয়ের ইতিহাস তৈরির সুযোগ। বলতে গেলে গ্রুপ জি-তে টিউনিশিয়া ও পানামার নিয়মরক্ষার ম্যাচে এই দুটোই ছিল আকর্ষণ।
একটা দলের সামনে ৪০ বছর পর বিশ্বকাপে ম্যাচ জয়ের হাতানি। আর অন্য দলটির সামনে অভিষেক বিশ্বকাপে জয়ের ইতিহাস তৈরির সুযোগ। বলতে গেলে গ্রুপ জি-তে টিউনিশিয়া ও পানামার মধ্যে নিয়মরক্ষার ম্যাচে এই দুটোই ছিল আকর্ষণ। খেলার শুরু থেকেই জয় পাওয়ার জন্য লড়াই শুরু করে দেয় পানামা। তুলনায় টিউনিশিয়ার শুরুটা ছিল একটু ধীরে।
পানামার লাগাতার আক্রমণে শুরুতে টিউনিশিয়াকে একটু দিশেহারাই মনে হচ্ছিল। এভাবেই ৩৩ মিনিটে জোসে লুইস রডরিগেজের করা শটে পা লাগিয়ে টিউনিশিয়াকে গোল খাইয়ে দেন মেরিহা। এই গোলের পর থেকেই মনে হচ্ছিল পানামা হয়তো অভিষেক বিশ্বকাপেই ইতিহাস তৈরি করে ফেলবে। টিউনিশিয়াকে দেখে মনে হচ্ছিল নিয়ম রক্ষার ম্যাচে তারা জয় থেকে অনেকটাই দুরে। প্রথমার্ধের খেলা এভাবেই শেষ হয়। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধেই খেলার চেহারা বদলে যায়। ধারাবাহিকভাবে ওয়ান টু ওয়ান পাস খেলে পানামার বক্সে বারবার হানা দিতে থাকে টিউনিশিয়া। আচমকাই যেন গোটা দলটার খেলার ধার ও গতি বেড়ে যায়। খেলার ৫১ মিনিটে অসাধারণ পাস খেলতে খেলতে পানামার গোলে বল ঢুকিয়ে দেয় টিউনিশিয়া। দুরন্ত গোলটি করে নায়ক বনে যান বেন ইউসুফ। এরপর টিউনিশিয়া দলটি একের পর এক আক্রমণ শানাতে শানাতে হাজির হয় পানামার বক্সে।
এই পরিস্থিতিতে বলের দখল নিয়ে বিপাকে পড়ে পানামা। তারউপরে বল দখলে সংঘর্ষের গুরুতর চোট পান পানামার অধিনায় টোরেস। তাঁকে মাঠের অবসর নিতে হয়। ফলে পানামার পক্ষে জয় পাওয়াটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। টিউনিশিয়ার সংঘবদ্ধ আক্রমণ বারবার আছড়ে পড়তে থাকে। এভাবেই একটা দুরন্ত সেন্টারে পা দিয়ে সরাসরি পানামার জালে বল ঢোকান খাজরি। ৬৬ মিনিটের এই গোলের পর দু'দলের সামনে আর সেভাবে কোনও সুযোগ তৈরি হয়নি। শেষমেশ ২-১ গোলে পানামাকে হারিয়ে ৪০ বছর পর বিশ্বকাপে জয়ের স্বাদ পায় টিউনিশিয়া।