গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে শেষ ১৬-য় ইউরো চ্যাম্পিয়ন রোনাল্ডোর পর্তুগাল
কঠিন লড়াই শেষে ইরানের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে শেষ ১৬-য় পৌঁছে গেল পর্তুগাল।
কঠিন লড়াই শেষে ইরানের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে শেষ ১৬-য় পৌঁছে গেল পর্তুগাল। ইরানের মতো দল বেশ লড়াই দিল। ম্যাচ শেষের আগের কয়েক মিনিটে একেবারে টানটান উত্তেজনায় ভরে গিয়েছিল ম্যাচ। দুই দলের খেলোয়াড়রাই প্রাণপণ চেষ্টা করে ম্যাচ জেতার লক্ষ্যে ছিলেন। এই করতে গিয়েই বেশ উত্তেজক হয়ে উঠেছি্ল শেষ লগ্ন। রেফারি কয়েকটি হলুদ কার্ড দেখালেন, বেশ কয়েকটি ফাউল হল।
তবে নাটকের সেখানেই শেষ ছিল না। পর্তুগাল বক্সে ফাউল করে হাতে বল লাগানোয় ইরান পেনাল্টি পায়। তা থেকে ৯৩ মিনিটের মাথায় গোল করে সমতা ফেরান আনসারিফার্দ। তবে শেষ অবধি ম্যাচ ১-১ ড্র করে গ্রুপ বি থেকে দ্বিতীয় দল হিসাবে পরের রাউন্ডে চলে গেল পর্তুগাল।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ছন্দে ছিল পর্তুগাল। বেশ কয়েকটি ইতিবাচক আক্রমণও তৈরি হয়েছিল। তবে কিছুতেই গোল আসছিল না। রোনাল্ডো কিছুটা নিষ্প্রভ ছিলেন। অন্যদিকে কারেসমা ও আন্দ্রে সিলভা বেশ সপ্রতিভ ছিলেন।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষ লগ্নে রোনাল্ডোর বাড়ানো পাস থেকে ডান পায়ের অনবদ্য শটে গোলকিপার বেইরনভন্দকে পরাস্ত করে পর্তুগালকে ১-০ লিড এনে দেন রিকার্দো কারেসমা।
যদিও গোল খেয়ে দমে যায়নি ইরান। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ ইতিবাচকভাবেই শুরু করে হাজি সফি ব্রিগেড। অধিনায়ক সফি ডিফেন্সে বেশ কড়া ট্যাকল করছিলেন। আক্রমণে মেহদি, জাহাবকশ, সর্দাররাও নিজেদের মতো করে চেষ্টা চালিয়েছেন। তবে পেপে, রাফায়েল, ফন্তে সেডরিচের ডিফেন্স ভাঙা সহজ হচ্ছিল না।
পর্তুগাল অন্যদিকে আক্রমণে ধার বাড়াচ্ছিল। ইরান প্রতি আক্রমণে গোল করার চেষ্টায় ছিল। সেই করতে গিয়েই একেবারে শেষ লগ্নে বক্সে পেনাল্টি থেকে ইরান সমতা ফেরায়।
এদিন জিতে পর্তুগাল ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয়ে পরের রাউন্ডে গেল। গ্রুপ শীর্ষে রইল স্পেন। প্রথম ম্যাচে স্পেনের সঙ্গে ৩-৩ ড্র করার পরে দ্বিতীয় ম্যাচে মরক্কোর বিরুদ্ধে রোনাল্ডোর করা গোলে পর্তুগাল ১-০ জয় পেয়েছিল। আর এদিন ইরানের সঙ্গে ড্র হল। এদিকে ইরান ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল।