উরুগুয়ে-পর্তুগাল দ্বৈরথ! সুয়ারেসকে কি ছাপিয়ে যাবেন রোনাল্ডো, পড়ুন ম্যাচ প্রিভিউ
শনিবার গ্রুপ এ-র শীর্ষ স্থানাধিকারী উরুগুয়ে বনাম গ্রুপ বি-র দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পর্তুগাল নামছে সোচি স্টেডিয়ামে ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায়।
শনিবার গ্রুপ এ-র শীর্ষ স্থানাধিকারী উরুগুয়ে বনাম গ্রুপ বি-র দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পর্তুগাল নামছে সোচি স্টেডিয়ামে ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায়। গ্রুপ লিগের ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে শেষ লগ্নে গোল না খেলে পর্তুগাল গ্রুপে শীর্ষ স্থানে শেষ করত। তাহলে নক আউটের শুরুতেই উরুগুয়ের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে না খেলে অপেক্ষাকৃত সহজ রাশিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে হতো। তাহলে কোয়ার্টার ফাইনালের রাস্তা অনেক সহজ হতো।
এদিকে দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে গ্রুপ এ থেকে সবকটি ম্যাচ জিতে পরের রাউন্ডে উঠেছে। গ্রুপের অন্য দল আয়োজক রাশিয়াকেও ৩-০ গোলে হারিয়ে যে দলটি উদ্বোধনী ম্যাচে সৌদি আরবকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে।
হোসে মারিয়া গিমেনেস ও লুই সুয়ারেসের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে নামবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এই বিশ্বকাপে ইতিমধ্যে ৪টি গোল করে ফেলেছেন তিনি। শেষ ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে রিকার্দো কারেসমা গোল করে দলকে বাঁচিয়েছেন। পরে ইরানের হয়ে গোল করে করিম আনসারিফার্দ সমতা ফেরান।
উরুগুয়ের ডিফেন্স রোনাল্ডোকে মার্ক করার পরিকল্পনা সেরে ফেলেছে। তবে সেবাস্তিয়ান কোতেস বলছেন, অন্য দলের খেলোয়াড়দের যেভাবে মার্ক করা হয়, সেভাবেই রোনাল্ডোকে মার্ক করা হবে। তিনি সুপারস্টার ভেবে আমরা আলাদা পরিকল্পনা করছি না।
অস্কার তাবারেসের দল উরুগুয়ে এখনও কোনও গোল খায়নি বিশ্বকাপে। ডিফেন্স মজবুত রয়েছে। এদিকে পর্তুগাল তিন ম্যাচে ৪ গোল হজম করেছে। পর্তুগালের কোচ ফের্নান্দো স্যান্তোস জানেন একেবারে দক্ষিণ আমেরিকান স্টাইলের ফুটবল খেলবে উরুগুয়ে। সেভাবেই নিজের দলকে প্রস্তুত রাখছেন।
এই নিয়ে তিনবার দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে। বিশ্বকাপের মঞ্চে এই প্রথম মুখোমুখি দুই দল। ১৯৭২ সালের পর এই প্রথম দুই দল কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছে।
আগের দুই বারের সাক্ষাতে পর্তুগাল ১ বার জিতেছে। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। উরুগুয়ে রাউন্ড অব ১৬ শুরু হওয়ার পরে ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে এই নক আউট পর্বেই বিদায় নিয়েছে। ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছিল।
এছাড়া ১৯৩০ সালের পর এই প্রথম পরপর চারটি ম্যাচ জেতার সুযোগ রয়েছে উরুগুয়ের সামনে। গ্রুপ লিগে তিনটি ম্যাচ জেতার পরে এদিন পর্তুগালের বিরুদ্ধে জিতলে ১৯৩০ সালের রেকর্ড ছোঁবে সুয়ারেসের দল। সেবার পরপর চারটি ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল উরুগুয়ে।
এদিকে পর্তুগালের দিকে তাকালে দেখা যাবে, বড় টুর্নামেন্টে শেষ ১৭টি ম্যাচে একবারই হেরেছে পর্তুগাল। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানি ০-৪ গোলে হারিয়েছিল। রোনাল্ডো এখনও নক আউটে দেশের হয়ে গোল করতে পারেননি। তবে গ্রুপ ম্যাচে স্পেন ও পরে মরক্কোর বিরুদ্ধে গোল পাওয়ায় এই রেকর্ড উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ভাঙতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উরুগুয়ে ম্যাচে মাঠে নামলে রোনাল্ডো বাস্তিয়ান সোয়েনস্টেইগারের বিশ্বকাপ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৮টি ম্যাচে খেলার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন। নক আউটের পরের স্টেজে গেলে সেই রেকর্ড ভাঙবেন তিনি।
এদিন ম্যানেজার হিসাবে পরপর চারটে বড় টুর্নামেন্টে দলকে তোলার সম্মান নিয়ে মাঠে লাইনের পাশে দাঁড়াবেন পর্তুগালের ফের্নান্দো স্যান্তোস। ২০১২ ইউরো, ২০১৪ বিশ্বকাপ, ২০১৬ ইউরোর পর ২০১৮ বিশ্বকাপে তিনি দলকে নক আউটে তুলেছেন।