দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড, ক্লান্তি ভাবাচ্ছে ক্রোয়েশিয়াকে
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড এবং ক্রোয়েশিয়া। ইংল্যান্ড আশাবাদী এই ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছনোর বিষয়ে।
দীর্ঘ ৫২ বছর বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছনোর লক্ষ্যে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ইংল্যান্ডে। রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮-এর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী দুই শিবির।
চলতি বিশ্বকাপ এই দু'টি দেশই আছে দুরন্ত ছন্দে। টাইব্রেকার বাদ দিলে এখনও পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপে নির্ধারিত সময়ে ১০টি গোল করেছে ক্রোয়েশিয়া, তাদের বিপক্ষে গোল হয়েছে ৪টি।
অন্যদিকে, নির্ধারিত সময়ে ইংল্যান্ত গোল করেছে ১১টি এবং হজম করেছে ৪টি। ফলে ফরোয়ার্ড লাইন এবং ডিফেন্সিভ লাইনে দুই দলের পারফরম্যান্সই প্রায় একই রকম। তবে, ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডকে যেটা সুবিধাজনক জায়গায় রাখছে তা হলে ইংল্যান্ডের মাঝমাঠ।
প্রতিপক্ষের দলে লুকা মদ্রিচ, ইভান রাকিটিচের মতো ফুটবলার থাকলেও ইংল্যান্ডের অ্যাশলে ইয়ং, ডেলে আলি, এরিক ডায়াররা ভাল পারফর্ম করছেন।
আর
দলের
এই
ধারাবাহিকতাই
আত্মবিশ্বাস
জোগাচ্ছে
ব্রিটিশ
কোচকে।
গ্যারেথ
সাউথগেট
ম্যাচের
আগের
দিন
জানিয়ে
দিলেন
মদ্রিচে-রাকিটিচের
মতো
ফুটবলার
প্রতিপক্ষ
দলে
থাকলেও
তাঁর
দল
তৈরি
সেরা
খেলা
তুলে
এনে
ফাইনালে
জায়গা
করে
নিতে।
দ্বিতীয়
সেমিফাইনালে
ক্রোয়েশিয়ার
বিরুদ্ধে
নামার
আগে
ইংল্যান্ডের
অনুশীলনও
ছিল
এদিন
বেশ
হাল্কা।
ফুটবলারদের
হালকা
রাখতে
রাবারের
মুরগী
দিয়ে
অনুশীলন
করান
ব্রিটিশ
কোচ।
এতে
মজার
পাশাপাশি,
অনুশীলনটাও
চলে
সমান
দমে।
ইংল্যান্ডের কোচ যখন আশাবাদী নিজের দলকে নিয়ে, তখন চিন্তার ভাঁজ ক্রোয়েশিয়ার কোচের কপালে। তিনি বলেন, 'আমরা ছয় দিনে দু'টি ১২০ মিনিটের ম্যাচ খেলেছি এবং শরীরিক দিক দিয়ে এবং মানসিক দিক দিয়ে আমাদের জন্য গত ছয়টি দিন বেশ কঠিন ছিল।'
তাঁর আরও সংযোজন, 'এই রকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার আগে প্রচুর পরিমানে এনার্জি প্রয়োজন কিন্তুআমাদের হাতে বেশি সময় নেই এবং তিন দিনের মধ্যেই পরের খেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমি গর্বিত দলের খেলায়, যেভাবে প্রতিপক্ষের খেলার ধাঁচ ধরে, তাদের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরা খেলা দিয়ে দলের ফুটবলাররা জয় তুলে এনেছে তা অসাধারণ। আমাদের পক্ষে যতটা ভাল খেলা সম্ভব ছিল আমরা খেলেছি। আমি আশা করি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচেও আমরা জিতব।'
ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে খবর, হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যার কারণে এই ম্যাচে জর্ডান হ্যান্ডারসন কতটা খেলতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে, গত ম্যাচে চোটের কারণে না খেলা জিমি ভার্দি ফিরতে চলেছেন ইংল্যান্ডের দলে।
অন্য
দিকে,
ক্রোয়েশিয়া
আশাবাদী
গত
ম্যাচে
চোট
পাওয়া
ক্রোয়েশিয়ার
গোলরক্ষক
সুবাসিচের
এই
ম্যাচে
খেলার
বিষয়ে।
যদিও
পরিসংখ্যানের
বিচারে
গুরুত্বপূর্ণ
এই
ম্যাচের
আগে
অ্যাডভান্টেজে
আছে
ইংল্যান্ড।
এর
আগে
মাত্র
একবারই
বড়
কোনও
টুর্নামেন্টে
মুখোমুখি
হয়েছিল
এই
দুই
দল।
২০০৪
সালে
ইউরোর
সেই
ম্যাচে
ক্রোয়েশিয়াকে
৪-২
গোলে
হারিয়ে
দেয়
ইংল্যান্ড।
এর আগে মাত্র দু'বার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালে তারা প্রথম সেমিফাইনাল খেলে এবং সেই বারই চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৯০ সালে পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়।