ম্যাচ প্রিভিউতে জেনে নিন সম্মুখ সমরে নামার আগে কেমন তৈরি পেরু-ডেনমার্ক
গ্রুপ ‘সি’ এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শনিবার মুখোমুখি ডেনমার্ক এবং পেরু।
শনিবার গ্রুপ 'সি' এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি ডেনমার্ক এবং পেরু। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ফের ফুটবল বিশ্বকাপে মাঠে নামতে চলেছে পেরু। ১৯৮২ সালে শেষ বারের মতো বিশ্বকাপ খেলে লাতিন আমেরিকার এই দলটি।
ডেনমার্কের বিরুদ্ধে মূলত আক্রণাত্মক ফুটবলের উপর-ই জোড় দেওয়ার পরিকল্পনা পেরু থিঙ্কট্যাঙ্কের। ডোপ কেলেঙ্কারির জন্য বিশ্বকাপের আগে দলের অন্যতম সিনিয়র ফুটবলার পাওলো গেরেরোকে পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল পেরু শিবিরে। কিন্তু সকল প্রতিকূলতাকে পেরিয়ে পেরুর জন্য বিশ্বকাপে মাঠে নামার ছাড়পত্র পান গেরেরো।
ডেনমার্কের বিরুদ্ধে অভিজ্ঞ এই ফুটবলারই হতে চলেছে পেরুরু অন্যতম অস্ত্র। এই বিশ্বকাপে পেরুর অধিনায়কের দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি।
পাওলোকে দলে পাওয়া নিয়ে পেরুর কোচ বলেন, 'পাওলো বিশবকাপের প্রথম ম্যাচে নামার জন্য তৈরি। ও যথেষ্ট ফিট। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় ট্রেনিং করায় খেলার জন্য সম্পূর্ণ তৈরি ও।'
জাতীয় দলে ফিরে ৩ জুলাই সৌদি আরবের বিরুদ্ধে একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচে দু'টি গোল করেন তিনি। শুরু থেকেই ডেনমার্কের বিরুদ্ধে মাঠে নামার কথা তাঁর। এছাড়া ডেনমার্কের বিরুদ্ধে নামার আগে পেরু শিবিরকে স্বস্তিতে রাখছে দলে চোট-আঘাত জনিত সমস্যা না থাকা।
অন্য দিকে, এই ম্যাচেস পেরুর প্রতিপক্ষও যথেষ্ট শক্তিশালী। ডেনমার্কেরল দলে রয়েছে একাধিক প্রিমিয়ার লিগ খেলা প্লেয়ার। ২০১০ সালে শেষ বার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল ডেনমার্ক।
পেরু যখন চাইছে পাওলোর উপর নির্ভর করে এই বিশ্বকাপে ভাল পারফর্ম করতে, তখন ডেনমার্কের ভরসা হতে চলেছে টটেনহ্যাম হটস্প্যারে খেলা ক্রিস্টিয়ান এরিকসন। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে ডেনমার্কের জার্সিতে ১১টি গোল করেন তিনি।
ম্যাচের আগের দিন ডেনমার্কের কোচ বলেন, 'এই গ্রুপে ফ্রান্স ফেভারিট। আমাদের যদি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে হয় তাহলে আগামীকাল জিততেই হবে। ডেনমার্ক বনাম পেরু ম্যাচ দু'টি দলের জন্যই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হতে চেলেছে।'
পেরুর মতো চোট-আঘাতের চিন্তা নেই ডেনমার্কের শিবিরেও। এখন দেখার গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ জিতে শেষ হাসি হাসে কোন দল।