গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে যেতে মরক্কোর বিরুদ্ধে নামছে স্পেন
এদিন মরক্কোর বিরুদ্ধে নামছে সের্গিও রামোসের স্পেন।
এদিন মরক্কোর বিরুদ্ধে নামছে সের্গিও রামোসের স্পেন। স্পেনিয়ার্ডরা প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের সামনে আটকে গেলেও পরের ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জিতে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে। স্পেন পর্তুগালের বিরুদ্ধে ৩-৩ গোলে ড্র করা ম্য়াচেও ধারে-ভারে এগিয়ে ছিল। তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ব্যতিক্রমী হ্যাটট্রিক জয় আচটে দেয়। দ্বিতীয় ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয় আসে অবশেষে।
মরক্কো ২টি ম্যাচ খেলে ২টিতেই হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। সম্মানরক্ষার লড়াইয়ে এদিন স্পেনের বিরুদ্ধে নামছে। ফলে তাঁরা স্পেনকে খুব সহজে ছেড়ে দেবে না। কারণ খোলা মনে তাদের খেলতে হবে।
স্পেন বিশ্বকাপের শুরু থেকেই হোঁচট খাচ্ছে। টুর্নামেন্ট শুরুর একদিন আগে কোচ হুলেন লোপেতেগিকে ছেঁটে ফেলা হয়। কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফের্নান্দো ইয়েরোকে।
২০১০ বিশ্বকাপে গ্রুপ স্টেজ থেকেই স্পেনকে বিদায় নিতে হয়েছে। সেটা মাথায় রেখেই এদিন সতর্কভাবে শুরু করবে ইয়োরোর দল। যোগ্যতা অনুযায়ী খেললে মরক্কোকে হারাতে বিশেষ বেগ পেতে হবে না।
স্পেনের হয়ে পেপে রেইনা এই ম্যাচে চোটের কারণে সম্ভবত খেলছেন না। পর্তুগাল ম্যাচে অসাধারণ গোল করা নাচো মনরিয়াল চোটের কারণে কিছুদিন বিশ্রামে থাকলেও এই ম্যাচে শুরু থেকে নামবেন। এদিকে মরক্কো দলে চোট-আঘাতের কোনও খবর নেই।
মরক্কো ও স্পেন একে অপরের বিরুদ্ধে দু'বার খেলেছে। স্পেন একবার ১-০ গোলে ও পরের বার ৩-২ গোলে জিতেছে। স্পেন চারবার আফ্রিকার দেশের বিরুদ্ধে খেলে ৩ বার জিতেছে। এদিকে মরক্কো বিশ্বকাপে ছয়টি ম্যাচ ইউরোপীয় দলের বিরুদ্ধে খেলে চারটি হেরেছে। এদিন স্পেনের সঙ্গে হারলে ১৯৯৪ সালের পর গ্রুপ স্টেজে সবকটি ম্যাচ হেরে মরক্কো বিদায় নেবে।
একটি পরিসংখ্যান স্পেনের পক্ষে রয়েছে। তার হল ১৯৮৬ সাল থেকে বিশ্বকাপে পরপর আটটি সংষ্করণে গ্রুপ স্টেজের শেষ ম্য়াচে স্পেন জিতেছে।