ব্রন চোট পাওয়াতেই দমে গেল তিউনিশিয়া, নাহলে ফল হতে পারত অন্যরকম
ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮: প্রথমার্ধেই তিউনিশিয় স্ট্রাইকার ডিলন ব্রনের চোটই বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ম্য়াচে তিউনিশিয়ার কাল হয়ে দাঁড়াল।
বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ৫-২ গোলে হেরেছে তিউনিশিয়া। কিন্তু স্কোরলাইন দেখে আফ্রিকার এই দেশটির লড়াই বোঝা যাবে না। ২ গোল খেয়ে ডিলন ব্রনের গোলে ম্য়াচে ফিরেছিল তারা। কিন্তু ৬ মিনিট পরেই চোট পেয়ে বেরিয়ে যান সেই ব্রন। তারপর থেকেই শুরু বেলজিয়ান ঝড়। তবে তারপরেও মাথা না নামিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে লড়েছে তারা।
খেলা শুরুর ১৬ মিনিটের মধ্যে বড় দল ২ গোল দিয়ে দিলে সাধারণত গোলের সামনে লোকের ভিড় বাড়িয়ে গোল আটকাতে ব্য়স্ত হয়ে যায় ছোট দলগুলি। কিন্তু তিউনিশিয়ার স্বদেশীয় কোচ নাবিল মালৌলের প্রশংসা করতেই হবে। গেল খাওয়ার পর তিউনিশিয়া তেড়েফুড়ে উঠে এসেছিল আক্রমণে।
বেলজিয়ান বক্সের একটু বাইরে বাঁপ্রান্ত থেকে ফ্রিকিক পেয়েছিল তারা। কিক নিয়েছিলেন তিউনিশিয় স্ট্রাইকার খাজরি। বক্সের মধ্যে ইনসুইং মেশানো বল ভাসিয়েছিলেন তিনি। তিনজন বেলজিয়ান ডিফেন্ডারের মধ্য থেকে সেই বলে মাথা ছুঁইয়ে ছবির মতো গোল করে তিউনিশিয়াকে খেলায় ফিরিয়েছিলেন ব্রন।
এরপর রীতিমতো সমানে সমানে টক্কর চলছিল। কিন্তু ৬ মিনিট যেতে না যেতেই গোলদাতা ডিলন ব্রনই চোটের কবলে পড়েন। কারাস্কোর জোরালো পাস ব্লক করেছিলেন তিনি। তা করতে গিয়েই হাঁটুতে গুরুতর চোট পান তিনি। তাঁকে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে আসা হয়। আর মাঠে নামতে পারেননি তিনি। তাঁর বদলি হিসেবে নামেন, নাগুয়েজ।
এরপরও চেষ্টা ছাড়েনি তিউনিশিয়া। কিন্তু ধীর ধীরে বেলজিয়ানদের শক্তিশালী ফুটবলের সামনে আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। ৪১ মিনিটে ডিফেন্সের ভরসা বেন ইওসেফ-ও চোট পেয়ে বেরিয়ে যান।
তিউনিশিয়াকে কুর্ণিশ করতেই হয়। আগের ম্যাচে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে তাদের প্রথম গোলরক্ষক। এই ম্যাচে প্রথম এগারোর আরও দুজন বেরিয়ে যাওয়ার পরও তারা আক্রমণাত্মক খেলা ছাড়েনি সংযুক্ত সময়ে আরও একটি গোল করেন তিউনিশিয় স্ট্রাইকার খাজরি। ব্রনের ওই চোটটাই কাল হয়ে দাঁড়াল, নাহলে হয়তো জিততে পারত না, তবে ফলটা এতটা একপেশে হতো না।