বি গ্রুপের মহারণ! সম্মুখ সমরে স্পেন-পর্তুগাল, কারা করবেন বাজিমাত! পড়ুন ম্যাচ প্রিভিউ
গ্রুপ লিগের অন্যতম সেরা যুদ্ধে নামতে চলেছে স্পেন ও পর্তুগাল। ইউরোপের দুই সেরা ফুটবল শক্তি সোচির ফিস্ট অলিম্পিক স্টেডিয়ামে একে অপরের বিরুদ্ধে নামবে।
গ্রুপ লিগের অন্যতম সেরা যুদ্ধে নামতে চলেছে স্পেন ও পর্তুগাল। ইউরোপের দুই সেরা ফুটবল শক্তি সোচির ফিস্ট অলিম্পিক স্টেডিয়ামে একে অপরের বিরুদ্ধে নামবে। স্পেন ২০১০ বিশ্বকাপে ট্রফি ঘরে তুলেছে। অন্যদিকে ২০১৬ সালে ইউরোপ সেরা হয়েছে পর্তুগাল। তাই কেউ কারও চেয়ে কম যায় না।
বিশ্বকাপের আসে পর্তুগালের পারফরম্যান্স গ্রাফ খুব একটা ভালো নয়। তবে তাতে খুব বেশি ফারাক পড়বে না। ২০১৬ ইউরো কাপের আগেও দল একই পজিশনে ছিল। তবে একের পর এক ম্যাচে জিতে ইউরো সেরা হয়।
ইউরো কাপের সময়ে বিরক্তিকর ফুটবল খেলেও ম্যাচ ধরে ধরে জিতে গিয়েছিল পর্তুগাল। আর সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। ফের্নান্দো স্যান্তোসের দলকে হারানো সহজ নয়। ঘটনা হল, গত ২৯টি ম্যাচে পর্তুগাল মাত্র ২টিতে হেরেছে। যার মধ্যে একটি আবার পেনাল্টি শ্যুটআউটে হার রয়েছে।
দলে রয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো তারকা। তার সঙ্গে রয়েছে ইউরো জয়ের আত্মবিশ্বাস। ফলে পর্তুগাল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হলেও ইতিবাচকভাবেই শুরু করবে।
স্পেন কিন্তু প্রথম ম্যাচে চাপে থাকবে। ম্যাচ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে কোচ হুলেন লোপেতেগিকে সরে যেতে হয়েছে। দলের দায়িত্ব নিয়েছেন ফের্নান্দো ইয়েরো। এখন তিনিই বিশ্বকাপে স্পেনকে কোচিং করিয়ে কতদূর তুলতে পারেন সেটাই দেখার।
২০০৮-২০১২ সালের মধ্যে ইউরো ও বিশ্বকাপ জেতা স্পেন সবসময় কঠিন প্রতিপক্ষ। তবে গত কয়েকবছরে দলের ধার কমেছে। যদিও ২০টি ম্যাচে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে এসেছে স্পেন। এবং ২০১০ সালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনাই স্পেনিয়ার্ডদের মূল লক্ষ্য।
পর্তুগালের সেরা একাদশের মূল খেলোয়াড় হতে পারেন পেপে, কার্ভালহো, রোনাল্ডো, সিলভারা। অন্যদিকে স্পেনের পিকে, বুস্কেতস, ইনিয়েস্তা, কোস্তারা দলকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেন।
স্পেন ও পর্তুগাল আন্তর্জাতিক ম্যাচে মোট ৩৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে স্পেন ১৮ বার জিতেছে। ২০১২ সালে শেষে দেখায় স্পেন হারায় পর্তুগালকে।