উমতিতির হেডে ১২ বছর পরে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স
স্যামুয়েল উমতিতি। এই খেলোয়াড়টিকে নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়নি। তবে তাঁর হেডে ভর করেই বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ফ্রান্স।
স্যামুয়েল উমতিতি। এই খেলোয়াড়টিকে নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়নি। তবে তাঁর হেডে ভর করেই বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে রেড ডেভিলসদের স্বপ্নের দৌড় থেমে গেল।
অ্যান্তোইন গ্রিজম্যানের কর্ণার থেকে উমতিতি ৫১ মিনিটের মাথায় গোল করে যান। শেষ অবধি চেষ্টা করেও বেলজিয়াম গোল শোধ করতে পারেনি। ফলে ফাইনালে মস্কোয় ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে কোনও একটি দলের বিরুদ্দে কাপ জেতার লড়াইয়ে নামবে লেস ব্লুস-রা।
প্রথমার্ধে বেলজিয়াম ও ফ্রান্স দুই দলই কয়েকবার গোলের মুখ খুলে ফেললেও দুই গোলকিপার লোরিস ও কোর্তোইসের কারণে কোনও গোল হয়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নেমেই ফ্রান্স এগিয়ে যায়। সেই গোল আর বেলজিয়াম শোধ করতে পারেনি।
এটাই বেলজিয়ামের সোনার প্রজন্ম। যেভাবে রোমেলু লুকাকু, এডেন হ্যাজার্ডরা খেলেছেন বিশ্বকাপের আগের ম্যাচগুলিতে, তাতে অনেকেই বেলজিয়ামকে ফাইনালে দেখছিলেন। তবে ফ্রান্স দেখিয়ে দিল বড় দলের অভিজ্ঞতা কাকে বলে। সেট পিস থেকে গোল পেয়ে রক্ষণকে জমাট করে ফেললেন দিদিয়ের দেসক্যাম্পস।
বহুদিন পরে বেলজিয়াম চার ডিফেন্ডারে খেলতে নেমেছিল। থমাস মিউনিয়্যার দুটো হলুদ কার্ড দেখায় খেলতে পারেননি। আর এদিনই বেলজিয়ামকে গোল হজম করে কোনও গোল না করে ম্যাচ শেষ করতে হল।
দুই দলেরই মাঝমাঠের দখল নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল। বেলজিয়ামকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এডেন হ্যাজার্ড। আর ফ্রান্সের দায়িত্বে ছিলেন অ্যান্তোইন গ্রিজম্যান। তবে তিনি যেভাবে এমবাপে ও পোগবার সাহায্য পেয়েছেন, ততটা সাহায্য হ্যাজার্ড দলের অন্য সদস্যদের থেকে পাননি। তাহলে ম্যাচের ফল আরও আকর্ষণীয় হতে পারত।