আর্জেন্তিনার মতোই দুর্গতি! রাশিয়া বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের স্বান্ত্বনা হ্যারি কেনের সোনার বুট
আর্জেন্তিনা শেষ বিশ্বকাপ জিতছিলে ১৯৮৬ সালে। তারপর থেকে আর বিশ্বকাপ ছুঁতে পারেননি নীল-সাদা জার্সিধারীরা। ৩২ বছর পর এবারও ব্যর্থ। সেই দশা ঘুচল না ইংল্যান্ডেরও।
আর্জেন্তিনা শেষ বিশ্বকাপ জিতছিলে ১৯৮৬ সালে। তারপর থেকে আর বিশ্বকাপ ছুঁতে পারেননি নীল-সাদা জার্সিধারীরা। ৩২ বছর পর এবারও ব্যর্থ। সেই দশা ঘুচল না ইংল্যান্ডেরও। ইংল্যান্ডও শেষবার সেমিফাইনালে গিয়েছিল ১৯৮৬-তে। তারপর এবার সেমিফাইনালে গিয়েও স্বপ্নভঙ্গ হল ইংরেজদের। মন খারাপের মধ্যে একমাত্র প্রাপ্তি হ্যারি কেনের সোনার বুট।
দলকে ফাইনালে তুলতে না পারলেও রাশিয়া বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে মুখ রক্ষা করলেন হ্যারি কেন। এবার বিশ্বকাপে তিনি সর্বোচ্চ ৬টি গোল করেন। টটেনহ্যাম হটস্পারে খেলা এই তারকা ফুটবলার সাত ম্যাচ থেকে ৬টি গোল করেছেন। তবে প্রথম চার ম্যাচের পর আর তিনি গোল পাননি, দলও সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিয়েছে।
এবার হ্যারিকেনের ছ'টি গোলের তিনটিই এসেছে পেনাল্টি থেকে। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে দুটি, পানামার বিপক্ষে তিনটি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে একটি গোল করেন হ্যারি। সেমিফাইনালে হারের পর বেলজিয়ামের বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচেও হেরে যান হ্যারিরা। ফলে রাশিয়া বিশ্বকাপে তাঁরা চতুর্থ স্থান লাভ করে।
তবে গ্যারি লিনেকারের পর হ্যারি কেন ইংল্যান্ড ফুটবলার হিসেবে গোল্ডেন বুট জয় করলেন। লিনেকারও ১৯৮৬-র বিশ্বকাপে ৬টি গোল করেছিলেন। কিন্তু দলকে সাফল্য দিতে পারেননি তিনি। ফলে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর আর ৫২ বছরেও খরা কাটল না ইংল্যান্ড ফুটবলের। ব্যর্থতার পর ব্যর্থতা। এবার হ্যারি কেনরা স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্নেরও পরিসমাপ্তি হল সেমিফাইনালে গোল্ডেন গোলে হেরে।
এবার বিশ্বকাপে হ্যারিকেন একা ৬টি গোল করেছেন। এরপরের স্থানে রয়েছেন পাঁচজন ফুটবলার। তাঁরা প্রত্যেকেই চারটি করে গোল করেন। তার মধ্যে রয়েছেন দুই ফরাসি তারকা অমবাপে ও গ্রিজম্যান। এছাড়াও রয়েছেন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, রাশিয়ার জেনি চেরিসেভ ও বেলজিয়ামের লুকাকু।