ফ্রান্সের বিরুদ্ধে শেষ ষোলোর ম্যাচে নামার আগে জনে নিন আর্জেন্তিনার শক্তি এবং দুর্বলতার বিষয়ে
বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে আর্জেন্তিনা। এই ম্যাচে আর্জেন্তিনা শিবিরের অ্যাডভান্টেজ হল মেসির ফর্মে ফেরা, মাঝমাঠে বেনোগ এবং মাসচারানো জুটি এবং নাইজেরিয়াকে হারিয়ে অর্জন করা
বিশ্বকাপে খাদের কিনারা থেকে ফিরে এসেছে আর্জেন্তিনা। প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে এবং পরের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন আর্জেন্তাইন সমর্থকেরা।
শেষ ম্যাচে লিওনেল মেসির অসাধারণ পারফরম্যান্সে এবং মার্কোস রোহোর অনবদ্য গোলে নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করেছে আর্জেন্তিনা।
এবার
লড়াইটা
আরও
শক্ত
মেসির
দলের
কাছে।
গ্রুপে
সুযোগ
থাকলেও
নকআউট
পর্বে
এসে
একটা
ভুলই
শেষ
করে
দিতে
পারে
বিশ্বকাপ
জয়ের
স্বপ্ন।
ফলে
প্রতিটা
দলই
এই
পরিস্থিতিতে
বেশ
সচেতন।
বিষয়টা
ভালো
মতোই
জানেন
ফুটবল
রাজপুত্র।
আর
তাই
গোটা
দলকেই
সামনের
দিকে
এগিয়ে
চলার
জন্য
সঙ্ঘবদ্ধ
করে
দায়িত্ব
নেওয়ার
কথা
বলছেন
লিওনেল
মেসি।
নক আউট পর্বের খেলা শুরু হচ্ছে আগামীকাল আর্জেন্তিনা বনাম ফ্রান্স ম্যাচ দিয়ে। দুই দলই আত্মবিশ্বাসী এই ম্যাচ থেকে জয় তুলে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার বিষয়ে। দুই দলের সাম্প্রতিক ফর্মের উপর বিচার করে আসুন দেখে নেওয়া যাক কোথায় এগিয়ে আর্জেন্তিনা, কোথায়-ই বা পিছিয়ে মেসিদের দল।
এই দুই দলের ভাল খেলা বা মন্দ খেলা অনেকটাই নির্ভর করবে পোগবা-গ্রিজমান এবং অন্য দিকে, মেসি-মাসচেরানোদের উপর।
আর্জেন্তিনার শক্তি:
প্রথম দুই ম্যাচে স্বমহিমায় ধরা না দিলেও নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে নিজের জাত চিনিয়েছেন মেসি। ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন ফর্মে ফেরার। এই ম্যাচে আর্জেন্তিনার মূল অস্ত্র মেসি।
প্রথম দুই ম্যাচে জোড় ধাক্কা খাওয়ার পর নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াকু জয় হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে মেসিদের। বিশ্ব ফুটবলের পরিচিত প্রবাদ খাদের কিনার থেকে ফিরে আসা আর্জেন্তিনা, খোঁচা খাওয়া বাঘের থেকেও ভয়ঙ্কর। ফলে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে অর্জিত আত্মবিশ্বাস অন্যতম সম্পদ হতে চলেছে মেসির দলের।
আর্জেন্তিনার মাঝমাঠকে গত ম্যাচে ছন্দে পাওয়া গিয়েছে যেটা পাওয়া যাচ্ছিল না প্রথম দুই ম্যাচে। বেনেগা-মাসচেরানো জুটিও সুপার হিট নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে, ফলে মাঝমাঠে বাঁধন আসায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আর্জেন্তিনার আক্রমণের মাত্রা বেশি থাকবে তা নিশ্চিত।
গোলের তলায় অভিষেক ম্যাচেই নির্ভরতা দিয়েছেন ফ্রাঙ্কো আরমানি। রিভার প্লেটের এই গোলরক্ষকের তিন কাঠির তলায় দাঁড়িয়ে ভাল পরফর্ম করাও আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে গোটা দলকে।
আর্জেন্তিনার দুর্বলতা:
সম্ভবত এই বিশ্বকাপে অন্যতম দুর্বল রক্ষণ মেসিদের। শেষ তিন ম্যাচে পাঁচ গোল হজম করছে দলটা। এই রক্ষণ সমস্যা যদি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কাটিয়ে না উঠতে পারে আর্জেন্তিনা, তাহলে কপালে দুঃখ রয়েছে মেসিদের। রক্ষণে দুর্বলতার পাশাপাশি আর্জেন্তিার রক্ষণ যথেষ্ট স্লথ। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতিআক্রমণে এসে গোল করে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে ফ্রান্সের। মনে রাখতে হবে দেম্বেলে, গ্রিজম্যান, এমবাপের মতো দ্রুত গতির ফুটবলার রয়েছে ফ্রান্সের।
আর্জেন্তিনার দুর্বলতার অন্যতম কারণ ফরোয়ার্ড লাইনের ব্যর্থতা। আর এর নেপথ্যে যাঁর অবদান অনস্বীকার্য তিনি হলেন গঞ্জালো ইগুয়াইন। নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে যে সুযোগ তিনি মিস করেছেন, তা চোখে দেখা যায় না। ইগুয়াইন যদি গোল মিসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তাহলে বিপদে পড়তে হতে পারে আর্জেন্তিনাকে।
আর্জেন্তিনার আরও বড় দুর্বলতা লুকিয়ে আছে উইং প্লেতে। দুই প্রান্ত ধরে ঠিক মতো আক্রমণ তুলে না আনতে পারলে ফরওয়ার্ডদের বল জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। বড় প্লেয়ার হলেও দিমারিয়া এই বিশ্বকাপে উইংয়ে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ।