বিশ্বকাপের মধ্যেও মারাদোনায় মেতে ফুটবলপ্রেমীরা, ‘ফুটবল ঈশ্বর’-এর জন্য কত খরচ হচ্ছে ফিফার জানেন
বিশ্বকাপের জৌলুস আরও বাড়াতে এবং দর্শক মাঠে টানতে মারাদোনার জন্য যে পরিমান অর্থ খরচ করছে ফিফা, তা চোখ কপালে তুলবে।
রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই নজরে এসেছিল চাঁদের হাট। দিয়েগো মারাদোন থেকে রোনাল্ডো, কার্লোস পুওল বা রবার্তো কার্লোস- সকলেরই উজ্জ্বল উপস্থিতি দেখা গিয়েছে স্টেডিয়াম জুড়ে। দেখা গিয়েছে হিগুয়েতা বা ভালাদারামার মতো তারকাকেও। কিন্তু প্রথম কটা ম্যাচে স্টেডিয়ামে চাঁদের হাট লক্ষ্য করা গেলেও পরে সেই ভাবে তারকারা নজরে আসেননি স্টেডিয়াম চত্বরে। ব্যতিক্রম 'ফুটবল ঈশ্বর' দিয়েগো মারাদোনা।
গ্রুপ লিগে আর্জেন্তিনার প্রতিটি ম্যাচে স্টেডিয়াম আলো করেছিলেন মেক্সিকো বিশ্বকাপের নায়ক। আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে মেসি পেনাল্টি মিস করলে লজ্জায় মুখ ঢাকা হোক অথবা নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে রোহোর জীবনদায়ী গোলের পর বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাস, সবই দেখা গিয়েছে মারাদোনার মধ্যে। বয়স ষাটের কোটায় গেলেও মারাদোনার মন যে এখনও তরুণ তা প্রমাণিত হয়েছে বারবার।
কিন্তু এখানে একটাই প্রশ্ন শুধু ঘুরে ফিরে আসছে এবং তা হল মারাদোনাকে অধিকাংশ সময়ে স্টেডিয়ামে দেখা গেলেও কেন দেখা যাচ্ছে না অন্যান্য তারকাদের?
এর উত্তর হল ফুটবলের প্রচারে এবং বিশ্বকাপের আকর্ষণ বাড়াতে ফিফার তারকা সিস্টেমের অন্যতম সদস্য মারাদোনা। ফিফার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও এই কিংবদন্তি ফুটবলার। ফিফা ভাল মতোই জানে মারাদোনা তুলনায় বড় নাম ফুটবল বিশ্বে সে অর্থে নেই। মারাদোনাকে সামনে রাখলে চলতি বিশ্বকাপ থেকে বড় অঙ্কের মুনাথা করতেও অসুবিধা হবে না ফিফার আর তাই প্রতিটি ম্যাচেই বিশেষ আসন পাচ্ছেন মারাদোনা। পাচ্ছেন বিশেষ সুবিধাও। সিগার এবং মদ্যপানের প্রতি মারাদোনার প্রেম কারোর অজানা নয়। কিন্তু ধূমপান করার উপর নিশেধাজ্ঞা থাকলেও মারাদোনার সিগার ধরাতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মারাদোনাকে প্রতিদিন হাত খরচ বাবদ দশ হাজার পাউন্ড দিচ্ছে ফিফা। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমান প্রায় ন'লক্ষ টাকা। শুধু হাত খরচই নয়, মারাদোনার খাওয়ার খরচ, থাকার খরচ এবং যাতায়াতের খরচও বহন করছে ফিফা।