কোন অঙ্কে শেষ ১৬-য় পৌঁছনোর ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে মেসির আর্জেন্তিনার
আর এই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা আর্জেন্তিনার কাছে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আর এই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা আর্জেন্তিনার কাছে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২ টি ম্যাচে ১টি ড্র ও ১টি হার নিয়ে আর্জেন্তিনার পয়েন্ট মাত্র ১। গোল পার্থক্য মাইনাস ৩।
এই অবস্থায় পরের ম্যাচ রয়েছে মঙ্গলবার নাইজেরিয়ার সঙ্গে। তার আগে আইসল্যান্ড ও নাইজেরিয়ার ম্যাচ রয়েছে শুক্রবার। সেই ম্যাচে নাইজেরিয়া হারলে ও পরের ম্যাচে আর্জেন্তিনা নাইজেরিয়াকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে তবেই শেষ ষোলোয় জায়গা করতে পারে। এক্ষেত্রে আইসল্যান্ড কেমন ফলাফল করে তার উপরে সবকিছু নির্ভর করবে।
এখন ঘটনা হল, এখান থেকেও মেসির আর্জেন্তিনা শেষ ১৬-য় পৌঁছতে পারে। তবে তার জন্য বাকী দলগুলিকে আর্জেন্তিনা যেমন ফলাফল চায় সেটা করতে হবে। কেমন সেই অঙ্ক, জেনে নেওয়া যাক।
ক্রোয়েশিয়া ২টি ম্যাচ নাইজেরিয়া ও আর্জেন্তিনাকে হারিয়ে শেষ ১৬-য় উঠে গিয়েছে। দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়াই আইসল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও আর্জেন্তিনার।
আইসল্যান্ড ১টি ম্যাচে ১ পয়েন্ট, গোলপার্থক্য ০। আর্জেন্তিনার ২ ম্যাচে ১ পয়েন্ট, গোলপার্থক্য মাইনাস ৩। নাইজেরিয়ার ১ ম্যাচে ০ পয়েন্ট, গোলপার্থক্য মাইনাস ২।
এখন পরের ম্যাচে শুক্রবার আইসল্যান্ড নাইজেরিয়াকে ১-০ গোলে হারালে আর্জেন্তিনা ও নাইজেরিয়া গোল পার্থক্যে সমান জায়গায় চলে আসবে। পরের ম্যাচে নাইজেরিয়াকে হারাতে হবে মেসিদের।
এখানেও অবশ্য অঙ্ক জটিল মেসিদের পক্ষে। ক্রোয়েশিয়াকে শেষ ম্যাচে আইসল্যান্ডকে হারাতে হবে। যদি ধরা যাক গোল পার্থক্য হয় ২-০ তাহলে আইসল্যান্ড মাইনাস ১-এ দাঁড়িয়ে থাকবে। এক্ষেত্রে মেসিদের নাইজেরিয়া ম্যাচ অনেক বড় ব্যবধানে জিততে হবে। ক্লিন শিট ও কমপক্ষে ৩-০ গোলে জিততে হবে। সেক্ষেত্রে আর্জেন্তিনার গোলপার্থক্য শূন্য হবে ও আইসল্যান্ডের হবে মাইনাস ১। তখন দ্বিতীয় দল হিসাবে মেসির দল পরের রাউন্ডে যাবে।
এক্ষেত্রে এতগুলি শর্ত পূর্ণ করে আর্জেন্তিনা পরের রাউন্ডে যেতে পারে কিনা সেটাই দেখার।