অনেক এগিয়ে চেন্নাই সিটি! কারা টপকাতে পারে তাদের - আই লিগ জেতার দৌড়ে কোথায় দুই প্রধান
১২ রাউন্ডের খেলার পর আই লিগ ২০১৮-১৯ জেতার দৌড়ে স্পষ্টতই এগিয়ে রয়েছে চেন্নাই সিটি এফসি।
'বিজনেস এন্ড'-এ পড়ল আইলিগ ২০১৮-১৯। আর মাত্র ৯ ম্যাচ বাকি। গত মরসুমে শেষ দিন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কিন্তু এই মরসুমে এখনই লিগ-টেবিল একটা স্পষ্ট চেহারা নিতে শুরু করেছে। শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) আইজলের বিরুদ্ধে ৪-৩ গোলে নাটকীয় জয়ের পর ৮ পয়েন্টের ব্যবধান নিয়ে লিগ শীর্ষে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালি করেছে চেন্নাই সিটি এফসি।
দ্বাদশ রাউন্ডের আগে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল রিয়াল কাশ্মীর ও নেরোকা। কিন্তু দুই দলই নিজ নিজ ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করে চেন্নাইয়ের দলটিকে ৫ পয়েন্টের লিড দিয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের সামনে চেন্নাই সিটির সঙ্গে ব্যবধান কমানোর ভাল সুযোগ ছিল। কিন্তু, তারা সেই সুযোগ হারিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে।
দেখে নেওয়া যাক এবারের আই জয়ের দৌড়ে আপাতত কারা কারা রয়েছে। কোথায়ই বা রয়েছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান।
চেন্নাই সিটি এফসি
১২ রাউন্ডের ম্যাচের পর চেন্নাই সিটি রিয়াল কাশ্মীর, চার্চিল ও ইস্টবেঙ্গল (অ্যারোজ ম্যাচের পর)-এর থেকে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল। শুক্রবারের জয়ে এই ব্যবধান আরও বেড়েছে। তাদের পয়েন্ট এখন ১৩ ম্যাচে ৩০। শনিবারই মুখোমুখি হচ্ছে লিগ জয়ের দৌড়ে থাকা নেরোকা ও চার্চিল ব্রাদার্স। যে হারবে সেই লিগ জয়ের দৌড়ে পিছিয়ে পড়বে। আর ড্র হলে সুবিধা হবে চেন্নাইয়েরই।
চার্চিল ব্রাদার্স
শনিবার নোরোকার বিরুদ্ধে নামার আগে পর্যন্ত চার্চিলের পয়েন্ট ১২ ম্যাচে ২২। চেন্নাইকে লিগ শীর্ষ থেকে সরানোর দৌড়ে এখনও দারুণভাবে রয়েছে গোয়ার দলটি। ঘরের মাঠে চার্চিল এই মরসুমে খুবই ভাল খেলেছে। তাদের বাকি থাকা ৮টি ম্য়াচের মধ্যে ৫টিই রয়েছে ঘরের মাঠে। তাই তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ভাল সুযোগ রয়েছে। চেন্নাইয়ের মাঠে লিগ লিডারদের বিরুদ্ধে চার্চিল ২-২ ড্র করেছিল। ১ মার্চ লিগের একেবারে শেষ ম্যাচে ফিরতি লেগের খেলা। ততদিনে চেন্নাই চ্যাম্পিয়ন হয়ে না গেলে সেই ম্য়াচ আই লিগের বেসরকারি ফাইনাল হয়ে উঠতে পারে।
রিয়াল কাশ্মীর
নিজেদের শেষ ম্যাচে আইজলের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে চেন্নাইয়ের থেকে পিছিয়ে গিয়েছে এবারই প্রথম লিগ খেলতে আসা কাশ্মীরের দলটি। চার্চিলের মতো তারাও এখন ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্টে আছে। শনিবার তাদের খেলা শিলং লাজং-এর সঙ্গে। এদিন পয়েন্ট নষ্ট করলে কিন্তু আরও হড়কে যাবে রিয়াল কাশ্মীর। এই মরসুমে কিন্তু তারাই একমাত্র চেন্নাই-কে পরাজিত করতে পেরেছে। ২৮ জানুয়ারি ফিরতি লেগের ম্য়াচে ঘরের মাঠে লিগ লিডারদের মুখোমুখি হবে তারা। ফলে ব্যবধান কমানোর সুযোগ রয়েছে তাদের হাতেও।
ইস্টবেঙ্গল
শুক্রবার ইন্ডিয়ান অ্যারোজকে ১-০ গোলে পরাজিত করে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট আছে ইস্টবেঙ্গলও। গোলপার্থক্যে চার্চিল ও রিয়াল কাশ্মীরের থেকে পিছিয়ে আছে তারা। মশাল বাহিনীর পক্ষে এখনও লিগ জয় সম্ভব হলেও, তার জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের পয়েন্ট নষ্টের দিকে। জেতাটা আর নিজেদের হাতে নেই তাদের। লিগ শীর্ষে থাকা চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ঘরে-বাইরে দুই ম্যাচেই হার তাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে দিয়েছে। এখন নিজেদের সব ম্য়াচ জেতা ও বাকি তাদের উপরে থকা ৩ দলের পয়েন্ট নষ্ট করার আশা করা ছাড়া উপায় নেই ইস্টবেঙ্গলের হাতে।
নেরোকা এফসি
পাহাড়ের দলটি ১১ রাউন্ডের শেষেও লিগ জয়ের দৌড়ে ছিল। কিন্তু মোহনবাগানের বিরুদ্ধে হার তাদের লিগ জয়ের দৌড় থেকে প্রায় ছিটকে দিয়েছে। ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২১। শনিবার চার্চিলের বিরুদ্ধে হারলে বা ড্র করলে কিন্তু তারা ট্র্যাক থেকে পুরোপুরি ছিটকে যাবে। জিতলেও চেন্নাইয়ের সঙ্গে ব্যবধান থাকবে ৬ পয়েন্টের। তবে ১১ ফেব্রুয়ারি ঘরের মাঠে লিগ লিডারদের বিরুদ্ধে এই ফারাকটা কমানোর একটা সুযোগ আছে তাদের সামনেও।
মোহনবাগান
কলকাতার অপর বড় ক্লাব মোহনবাগানের এই বারের লিগের দৌড় কার্যত শেষ। ১৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২১। অর্থাত চেন্নাইয়ের থেকে তারা ৯ পয়েন্টে পিছিয়ে। ২৪ ফেব্রুয়ারি চেন্নাই-এর মাঠে লিগ শীর্ষে থাকা দলটির বিরুদ্ধে খেলবে সবুজ-মেরুণ। তবে ততদিনে আর ব্যবধান কমানোর কোনও ফায়দা অবশিষ্ট থাকবে কিনা তাই নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে।