দলবদলে লাল-হলুদে আইএসএল-এর ফুটবলার! মাঝমাঠের শক্তি বাড়াতে চান মেনেন্দেজ
দিল্লি ডায়নামোস থেকে লোনে আই-লিগ ২০১৮-১৯-এর বাকি মরসুমের জন্য ইস্টবেঙ্গল সিয়াম হঙ্ঘল-কে সই করাতে চলেছে।
আইলিগের শুরুতে নড়বড় করছিল ইস্টবেঙ্গল। মূলত মাঝমাঠই ভুগিয়েছে লাল-হলুদকে। কোলাদো, ডোভাল-রা দলে যোগ দেওয়ায়, সেই সমস্যা অনেকটাই মিটলেও মাঝমাঠেকে আরও আঁটসাঁট করে তুলতে চাইছেন লাল-হলুদ কোচ মেনেন্দেজ। আর তার জন্য আইএসএল-এর ক্লাব দিল্লি ডায়নামোস থেকে লোনে সিয়াম হঙ্ঘল-কে সই করাতে চলেছে মশালবাহিনী।
মণিপুরের এই ফুবলার এই মরসুমের শুরুতে রাজধানীর ক্লাবটিতে যোগ দিলেও কোচের আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁকে একটি ম্যাচেও শুরু থেকে নামায়নি দিল্লি ডায়নামোস। শেষ পর্যন্ত তাঁকে লোনে ছেড়ে দেওয়া হল ককাতার ক্লাবের হাতে। মনে করা হচ্ছে লাল হলুদে অনেক বেশি মাঠে নামার সুযোগ পেতে পারেন তিনি।
আইলিগের শুরুতে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন আল আমনা। তাঁর অনুপস্থিতিতে পরপর তিন ম্য়াচে হারে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল মাঝমাঠের দুর্বলতা। আলেহান্দ্রো মেনেন্দেজের হাতে ইয়ামি লঙভা, কমলপ্রিত সিং, কাশিম আইদারা-রা থাকলেও কেউই ছন্দ খুঁজে পাননি। এরপর অ্যান্টোনিও ডোভাল ও বিশেষ করে হাইমে কোলাদো যোগ দেওয়াতে অনেকটাই শক্তি বেড়েছে। এবার হঙ্ঘল আসায় আক্রমনে মেনেন্দেজের হাতে আরও বিকল্প ৈরি হল।
টাটা ফুটবল থেক উঠে আসা ফুটবলারটি তাঁর পেশাদা কেরিয়ার শুরু করেছিলেন আইলিগে পৈলান অ্যারোজের হয়ে। তারপর লোনে কিছুদিন ডিএসকে শিবাজিয়ান্স-এর হয়েও খেলেছেন। ২০১৩ সালে বেঙঅগালুরু এফসিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিন বছরে দুটি আইলিগ জেতেন।
এরপর ২০১৫-তে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের হয়ে আইএসএল-এ খেলতে যান। ২০১৬-য় সই করেছইলেন চেন্নাইন এফসি-তে। তারপরের বছর মুম্বই এফসিতে কাটিয়ে শেষ মরসুমে খেলেন কেরাল ব্লাস্টার্স-এর হয়ে।